অম্বানী পরিবারের যে কোনও অনুষ্ঠান নিয়েই যথেষ্ট চর্চা হয়। ছবি: সংগৃহীত।
আংটিবদল করলেন মুকেশ অম্বানীর কনিষ্ঠ পুত্র অনন্ত অম্বানী এবং ‘অ্যাঙ্কর হেল্থকেয়ার’-এর সিইও বিনোদ মার্চেন্টের কন্যা রাধিকা মার্চেন্ট। ১৯ জানুয়ারি, বৃহস্পতিবার অ্যান্টিলিয়াতেই ধুমধাম করে সম্পন্ন হল অনন্ত এবং রাধিকার বাগ্দান পর্ব।
অম্বানী পরিবারের যে কোনও অনুষ্ঠান নিয়েই যথেষ্ট চর্চা হয়। সম্প্রতি অনন্ত এবং রাধিকার বাগ্দান অনুষ্ঠানের একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছে। সেই ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছে, আংটিবদলের সেই মাহেন্দ্রক্ষণ উপস্থিত। পাত্র-পাত্রী দু’জনেই তৈরি। উপস্থিত সকলের চোখেমুখে উত্তেজনা। সবটাই প্রস্তুত, শুধু আংটির খোঁজ চলছে। হঠাৎই মুকেশ-কন্যা ইশা অম্বানী হাতে মাইক নিয়ে বলে উঠলেন, ‘‘আমরা বোধ হয় আংটিটা হারিয়ে ফেলেছি।’’ কয়েক মুহূর্তের নীরবতা। তার পর নিজের মুখেই আসল রহস্য খোলসা করলেন ইশা। তিনি জানান, হবু বর-কনের জন্য একটি বিশেষ চমক রয়েছে। ইশার কথা শেষ হওয়ার আগেই সিঁড়ি বেয়ে নেমে এল বাড়ির প্রিয় পোষ্যটি। তার কাছেই ছিল বাগ্দানের আংটি। অনন্ত, রাধিকা এবং বাড়ির বাকি সদস্যরা পোষ্যটিকে কোলে নিয়ে আদরে ভরিয়ে দিল। আদর পর্ব শেষ হতেই রাধিকা এবং অনন্ত একে অপরকে আংটি পরিয়ে দিলেন।
অম্বানী পরিবারের অনুষ্ঠান মানেই চাকচিক্য আর জাঁকজমকের হাট। পরিবারের ছোট ছেলের বিয়ে বলে কথা! তাই আয়োজনে কোনও ত্রুটি রাখেননি মুকেশ-নীতা।
অনন্ত এবং রাধিকার ‘রোকা’র অনুষ্ঠান হয়েছিল আগেই। পরম্পরা মেনে রাজস্থানের নাথদ্বারায় শ্রীনাথজির মন্দিরে সপ্তাহ খানেক আগেই সেই অনুষ্ঠান হয়। দীর্ঘ দিনের বান্ধবীর সঙ্গে আনুষ্ঠানিক ভাবে এ বার আংটিবদল সেরে ফেললেন মুকেশ-তনয়। বিশেষ দিনে রাধিকার পরনে ছিল সোনালি জরির কারুকাজ করা লেহঙ্গা-চোলি। হিরের গয়নায় ঝলমল করে উঠছিলেন অম্বানী পরিবারের নতুন সদস্য। অনন্তের পরনে ছিল নীল রঙের শেরওয়ানি।