ছবি : সংগৃহীত।
ডায়াবিটিস অর্থাৎ রক্তে শর্করার মাত্রায় ভারসম্য নষ্ট হওয়া। বিষয়টি এক কথায় শুনে ততখানি বিপজ্জনক মনে না হলেও, যাঁরা এ রোগের শিকার, তাঁরা জানেন, ডায়াবিটিসের আসলে কত বড় বিপদ। কতটা সুদূরপ্রসারী হতে পারে ওই একটি রোগের প্রভাব। ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে তাই চিকিৎসকেরা বলেন দ্রুত রোগ নির্ণয় এবং তার চিকিৎসা শুরু হওয়া জরুরি। কিন্তু শরীরে যে গোপনে ডায়াবিটিস বাসা বাঁধছে তা বুঝবেন কী করে?
উপসর্গ
ডায়াবিটিসের নানারকম উপসর্গ রয়েছে। তার মধ্যে যেগুলি কেউ কেউ জানেন, সেগুলি হল— ওজন হঠাৎ কমে যাওয়া, অতিরিক্ত জল তেষ্টা, বার বার প্রস্রাব, ক্ষতস্থান দ্রুত শুকোতে না চাওয়া, ইত্যাদি। কিন্তু এর বাইরেও কিছু উপসর্গ রয়েছে, যার কথা অনেকেই জানেন না। তেমনই একটি উপসর্গ হল যৌনাঙ্গে অস্বস্তিকর চুলকানি ভাব। যা সাধারণত হয় ছত্রাকের সংক্রমণ থেকে!
পুষ্টিবিদ এবং ডায়াবিটিস আাক্রান্তদের যাপন প্রশিক্ষক কনিকা মলহোত্র বলছেন, ‘‘ওই ধরনের অস্বস্তিকর চুলকানি হলে বুঝতে হবে শরীরে ডায়াবিটিস বাসা বাঁধছে। বিশেষ করে টাইপ টু ডায়াবিটিসের ক্ষেত্রে এই লক্ষণ বেশি দেখা যায়।’’
কিন্তু ডায়াবিটিসের সঙ্গে ওই ধরনের অস্বস্তিকর অনুভূতির সম্পর্ক কী? সে প্রশ্নের জবাব দিতে গিয়ে কণিকা বলছেন, ইস্ট জাতীয় ছত্রাক চিনির সংস্রবে অতিমাত্রায় বাড়ে। ফলে যাঁদের রক্তে শর্করার পরিমাণ অতিরিক্ত বেড়ে যায় তাঁদের ওই ধরনের ছত্রাকের সংক্রমণের প্রবণতাও বেড়ে যায়।’’
এ ছাড়া শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে গেলে তা রোগপ্রতিরোধ শক্তিকেও দুর্বল করে দেয়। ফলে ওই ধরনের সংক্রমণকে আর ঠেকাতে পারে না শরীর।
কী ভাবে বুঝবেন?
যৌনাঙ্গে ওই ধরনের অস্বস্তিকর চুলকানি অনেকসময় অন্তর্বাসের পরিচ্ছন্নতার সমস্যা বা অ্যালার্জি থেকেও হতে পারে। কিন্তু সেটি ডায়াবিটিসের লক্ষ্যণ কি না, তা বুঝতে হলে খেয়াল রাখতে হবে আরও কয়েকটি বিষয়ে।
১। ডায়াবিটিসের জন্য যৌনাঙ্গে ছত্রাকের সংক্রমণ এবং তার কারণে হওয়া অস্বস্তিকর চুলকানি ভাব সহজে নিরাময় হবে না। থেকে যাবে বা ফিরে আসবে বারবার।
২। প্রস্রাবের সময় জ্বালা ভাব।
৩। যৌনাঙ্গের চার পাশের ত্বকে লালচে ভাব
৪। এ ছাড়া খেয়াল রাখতে হবে ডায়াবিটিসের অন্যান্য উপসর্গ যেমন বহুমূত্র, অতিরিক্ত জলতেষ্টা, হঠাৎ ওজন কমে যাওয়ার মতো সমস্যা হচ্ছে কি না।