খেলার মাঝে কোর্টে পড়ে নোভাক জোকোভিচ। ছবি: রয়টার্স।
ফাইনালে হারলেন ২৪টি গ্র্যান্ড স্ল্যামের মালিক নোভাক জোকোভিচ। ১৯ বছর বয়সি জাকুব মেনসিকের কাছে হারলেন ৩৭ বছরের টেনিস তারকা। মায়ামি ওপেনের ফাইনালে অঘটন ঘটালেন জাকুব। জোকোভিচকে স্ট্রেট সেটে (৭-৬, ৭-৬) হারিয়ে নিজের প্রথম এটিপি প্রতিযোগিতা জিতলেন চেকিয়ার টেনিস খেলোয়াড়। জোকোভিচকে দেখেই টেনিস খেলা শুরু জাকুবের। অর্থাৎ, নিজের ‘গুরু’কেই হারিয়ে দিলেন তিনি।
ফাইনালে নামার আগে জোকোভিচের চোখ ফুলে গিয়েছিল। সেই পরিস্থিতিতেই খেলেন তিনি। লড়াইও করেন। কিন্তু জাকুবের কাছে দু’টি সেটেই টাইব্রেকারে হারলেন তিনি। গোটা ম্যাচে মোট ১৪টি এস মারেন জাকুব। সেখানেই সমস্যায় পড়েন জোকার। নবম কনিষ্ঠতম খেলোয়াড় হিসাবে এটিপি ট্রফি জিতলেন জাকুব।
বৃষ্টি ও বজ্রপাতের কারণে এই ম্যাচ শুরু হতে বেশ কয়েক ঘণ্টা দেরি হয়। প্রথম সেটের দ্বিতীয় গেমেই সার্ভিস খোয়ান জোকোভিচ। সপ্তম গেমে আবার ফিরে আসেন তিনি। জাকুবের সার্ভিস ভাঙেন। কিন্তু টাইব্রেকারে একতরফা পয়েন্ট তুলে নেন জাকুব। দ্বিতীয় সেটেও টান টান লড়াই চলছিল। জোকোভিচ আপ্রাণ চেষ্টা করছিলেন দ্বিতীয় সেট জেতার। কিন্তু জাকুবের গতির সঙ্গে পেরে ওঠেননি তিনি। শেষ পর্যন্ত হার মানতে হয় তাঁকে।
এই হারের ফলে রজার ফেডেরারকে ছোঁয়া হল না জোকোভিচের। কেরিয়ারে ৯৯টি ট্রফি জিতেছেন জোকোভিচ। মায়ামি ওপেন জিতলে কেরিয়ারে ১০০তম ট্রফি জিততেন সার্বিয়ার খেলোয়াড়। কিন্তু তা হল না। টেনিস দুনিয়ায় জিমি কোনর্স (১০৯) ও ফেডেরারের (১০৩) ১০০-র বেশি ট্রফি রয়েছে। সেই ক্লাবে ঢুকতে আরও কিছু দিন অপেক্ষা করতে হবে জোকোভিচকে।
জোকোভিচকে হারিয়ে তাঁরই কথা বলেছেন জাকুব। তিনি বলেন, “সকলেই জানেন, নোভাকের জন্যই এই জায়গায় আমি দাঁড়িয়ে আছি। আমি তোমাকে দেখেই টেনিস খেলা শুরু করেছি। তোমাকে কোনও ম্যাচে হারানো এক জন টেনিস খেলোয়াড়ের সবচেয়ে কঠিন চ্যালেঞ্জ। এই খেলার জন্য তুমি যা করেছ তার জন্য তোমাকে অনেক ধন্যবাদ। আমার জন্য তুমি যা করেছ তার জন্য তোমাকে ধন্যবাদ। তুমি সর্বকালের সেরা।” জাকুব যখন এই কথাগুলি বলছেন, তখন পাশে হাসিমুখে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায় জোকোভিচকে।