দুর্ঘটনার সেই দৃশ্য। ছবি: সংগৃহীত।
৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা বেগে রাস্তা দিয়ে ছুটছিল বিলাসবহুল ল্যাম্বরঘিনি গাড়ি। হঠাৎ ছন্দপতন! ফুটপাথে বসে থাকা তিন শ্রমিককে ধাক্কা মারার পর কিছু দূর গিয়েই থমকে গেল গাড়ি। সম্প্রতি নয়ডায় ঘটনাটি ঘটেছে। দুর্ঘটনায় আহত হয়েছেন দু’জন পরিযায়ী শ্রমিক।
দুর্ঘটনায় আহত এক শ্রমিক দাবি করেছেন, নয়ডার সেক্টর ৯৪ এলাকায় রাস্তার ধারে ফুটপাথে বসে ছিলেন তাঁরা। তখনই ল্যাম্বরঘিনি গাড়িটি বেপরোয়া গতিতে ছুটে আসে। তাঁর কথায়, ‘‘গাড়িটি খুব জোরে ছুটছিল। গাড়ির ধাক্কায় আমরা তিন জনই ছিটকে নর্দমায় পড়ে যাই।’’ পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, আহত দুই শ্রমিকের নাম দ্বিজেন রবিদাস এবং রম্ভু কুমার। দু’জনেই ছত্তীসগঢ়ের বাসিন্দা। তড়িঘড়ি তাঁদের উদ্ধার করে নিকটবর্তী হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তাঁদের অবস্থা আপাতত স্থিতিশীল। যদিও দুর্ঘটনার সময় ল্যাম্বরঘিনিটি আদতেই কত বেগে ছুটছিল, সে সব সম্পর্কে এখনও কোনও বিবৃতি দেয়নি পুলিশ।
নয়ডা সেক্টর ১২৬ থানার কর্তা ভূপেন্দ্র সিংহ সংবাদ সংস্থা পিটিআইকে জানিয়েছেন, গাড়িচালকের নাম দীপক। তিনি রাজস্থানের অজমেড়ের বাসিন্দা। দীপককে ইতিমধ্যেই গ্রেফতার করেছে পুলিশ। আটক করা হয়েছে গাড়িটিও। ইতিমধ্যেই দুর্ঘটনার একটি ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে (ভিডিয়োর সত্যতা যাচাই করেনি আনন্দবাজার ডট কম)। তাতে দেখা যাচ্ছে, দুর্ঘটনার পর গাড়ি থেকে বেরিয়ে আসতে আসতে অভিযুক্ত চালক স্থানীয়দের প্রশ্ন করছেন, ‘‘অল্প জোরেই তো চালিয়েছি! এখানে কেউ মারা গিয়েছেন কি?’’ প্রসঙ্গত, মৃদুল তিওয়ারি নামে নয়ডার বাসিন্দা এক ইউটিউবারের কাছ থেকে বিলাসবহুল ল্যাম্বরঘিনি গাড়িটি কিনতে এসেছিলেন দীপক। কেনার আগে গাড়িটি এক বার নিজে হাতে চালিয়ে পরখ করে দেখতেই রাস্তায় বেরিয়েছিলেন তিনি। তখনই নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বেপরোয়া গতিতে ছুটে গিয়ে পর পর তিন জনকে ধাক্কা মারেন দীপক। যদিও জেরায় দীপকের দাবি, গাড়ির যান্ত্রিক ত্রুটির কারণেই দুর্ঘটনাটি ঘটেছিল। সব দিক খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।