‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’-কে জব্দ করার অন্যতম উপায় অতিরিক্ত মেদ ঝরানো।
ডায়াবিটিস, ওবেসিটি, পিসিওডি, হাঁটু-কোমরে ব্যথা, যাবতীয় ‘লাইফস্টাইল ডিজিজ’-কে জব্দ করার অন্যতম উপায় অতিরিক্ত মেদ ঝরানো। ডায়েট, শরীরচর্চা ও নানা উপায় অবলম্বনের পরও কোনও কোনও অনিয়মের হাত ধরে মেদ জমতে থাকে। খুব নিয়ম মেনে ডায়েট করা বা প্রতি দিন ঘড়ি ধরে শরীরচর্চা করার সময়েও থেকে যায় নানা ফাঁকফোকর। তাই মেদ ঝরানোর বেশ কিছু কৌশলও অবলম্বন করতে হয়। তাতে ফাঁকিগুলো কিছুটা ঢাকা পড়ে।
মেদ ঝরানোর পথে অন্যতম সেরা ঘরোয়া উপায় জিরে ভেজানো জল। মধু-লেবুর জল নিয়ে নানা মিথ আছে। তবে মেদ কমানোয় তাদের ভূমিকা সে ভাবে নেই বলেই মত পুষ্টিবিদদের। সুমেধা সিংহের মতে, ‘‘মধু আদতে শরীরের অ্যান্টিব্যাকটিরিয়াল ক্ষমতা বাড়ায়। লেবু টক্সিন দূর করে শরীরকে সুস্থ রাখে। মেদ ঝরানোয় তাদের কোনও ভূমিকা নেই। প্রতি দিন সকালে তা খেলে শরীর সুস্থ থাকবে, তাতে সন্দেহ নেই। তবে মেদ ধরাতে মধু-লেবুর চেয়ে জিরে অনেক উপকারী।’’
জিরের মধ্যে প্রচুর অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট থাকায় তা হজমের সাহায্য করে। শরীর থেকে বাড়তি টক্সিন বার করে বিপাক ক্রিয়ার হারও বাড়ায় জিরে। শরীর ঠান্ডা রাখতেও জিরের জল সহায়ক। তাই ডায়েটিং ও নিয়মিত ব্যায়ামের সঙ্গে খালি পেটে জিরে জল খেলে ওজন কমার হার দ্রুত বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সুস্থ থাকতে ভরসা রাখুন এ সব ব্যায়ামে, ঝরবে মেদও!
চশমা পরেন? এ সব ভুল করলেই বিপদ হতে পারে
কী ভাবে তৈরি করবেন: এক গ্লাস জলে এক চা চামচ সাদা জিরে ভিজিয়ে রাখুন। সারা রাত রাখার পর সকালে সেই জলটা ছেঁকে ফুটিয়ে নিন। এ বার তাতে সামান্য লেবু যোগ করে ঈষদুষ্ণ অবস্থায় খেয়ে নিন তা। টানা এক মাস এই নিয়ম পালন করলেই দেখবেন ডায়েট বা শরীরচর্চায় সামান্য খামতি থাকলেও ফল মিলছে হাতেনাতে।
তা বলে ইচ্ছে মতো ডায়েট না মানা বা শরীরচর্চায় বিশৃঙ্খলা আনা কিন্তু ভুল। খুব অনিয়ম করে গেলে এই এক কৌশলেও মেদ বাগে আসবে না।