পোলট্রির মুরগি থেকে কি কারুর ব্ল্যাক ফাঙ্গাস হওয়া সম্ভব? ছবি: সংগৃহিত
কোভিড সংক্রমণের পাশাপাশি ব্ল্যাক, হোয়াইট, ইয়েলোর মতো নানা রকম ফাঙ্গাল সংক্রমণ নিয়ে হিমশিম খাচ্ছে গোটা দেশ। তারই মাঝে ভুয়ো খবরে ভরে যাচ্ছে নেটমাধ্যম। মিউকরমাইকোসিস নিয়ে শুরু থেকেই সব রকম সচেতনতা বা়ড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। কিন্তু তারই মাঝে চলছে ভুয়ো খবরের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা। সম্প্রতি তেমনই এক বার্তা ঘুরছে সকলের মুঠোফোনে। পোলট্রির মুরগি থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাসের সংক্রমণ ছড়ায়, এমনটাই দাবি করছে সেই বার্তা।
পশুপাখি থেকে ব্ল্যাক ফাঙ্গাস যে ছড়াতে পারে, আদপে তেমন কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ নেই। সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকারের তরফ থেকে টুইট করে জানানো হয়েছে যে এই পোস্টের কোনও সত্যতা নেই।
মিউকোরমাইকোসিসের উৎস মিউকোর নামক ছত্রাক থেকে। যা সাধারণত মানুষের নাকে বা মুখে পাওয়া যায়। এই রোগের উপসর্গ মূলত দাঁতে ব্যথা, মুখ ফুলে যাওয়া, মুখ অবশ হয়ে যাওয়া, নাকে কালচে দাগ, চোখ লাল হয়ে যাওয়া, মাথা ধরা, নাক দিয়ে রক্ত বা কালচে কফ বেরনো। তাই এই ধরনের উপসর্গে দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ করার উপদেশ দিচ্ছে ভারত সরকার।
(‘মিউকরমাইকোসিস’ আদৌ ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নয়। বস্তুত, ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ বলে কোনও রোগ নেই বলে জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা।
অথচ ঘটনাচক্রে, রোগটি এই নামেই আমজনতার কাছে অনেক বেশি পরিচিত। সেই কারণেই আনন্দবাজার ডিজিটাল সাধারণ ভাবে ‘ব্ল্যাক ফাঙ্গাস’ নামটি ‘মিউকরমাইকোসিস’-এর ক্ষেত্রে ব্যবহার করছে। অজ্ঞানতাবশত নয়।)