প্রতীকী ছবি। ছবি: সংগৃহিত
সম্প্রতি গর্ভবতী মহিলাদের কোভিড টিকাকরণে অনুমতি দিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রক। শুক্রবার সব রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে চিঠি লিখে এই বিষয়ে নির্দেশিকা পাঠানো হয়েছে। অনেক হবু মায়েদের কাছে এটা যথেষ্ট স্বস্তির বিষয়। অতিমারির মাঝে মা হওয়ার মানসিক চাপ থেকে তাঁরা খানিকটা হয়তো মুক্তি পাবেন এবার। কিন্তু সকলেই কি এখন এই টিকা নিতে চাইবেন? খোঁজ নিল ‘আনন্দবাজার অনলাইন’।
পার্ক সার্কাসের রেবেকা মা হবেন আগামী সেপ্টেম্বর মাসে। কোভিড-টিকার অনুমতি পেয়েও তিনি এখনও টিকাকরণের কথা ভাবছেন না। ‘‘আসলে এপ্রিল মাসে আমার কোভিড হয়েছিল। অনেকে তো বলছেন হবু মায়েদের এই রোগ হলে বাচ্চাদের জন্ম থেকে অ্যান্টিবডি থাকে। তাই আবার টিকা নিলে বাচ্চার কতটা লাভ হবে বুঝতে পারছি না। তাই ভাবছি সেপ্টেম্বরের পরেই নেব,’’ বললেন রেবেকা।
তবে সংশয় থাকলেও অনেকে টিকা নিয়ে উৎসাহী। তপস্যার বিয়ে হয়েছে জয়পুরে। চার মাসের গর্ভবতী কলকাতায় বাপের বাড়ি আসার জন্য ছটফট করছে। কিন্তু করোনার ভয়ে তাঁর স্বামী বুঝতে পারছেন না এই সময় বিমান সফর করা উচিত হবে কি না। তাই টিকা নেওয়ার অনুমতি পাওয়ায় তাঁরা আপ্লুত। ‘‘আমরা এখনও একটু গবেষণা করছি এই নিয়ে। গর্ভবতীদের টিকা নেওয়ার ভাল-মন্দ খুঁটিয়ে দেখে, চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে, তবেই চুড়ান্ত সিদ্ধন্ত নেব। তবে টিকা নিলে যদি কলকাতা ফেরা যায়, তা হলে নিয়েই নেব ভাবছি,’’ মনের ইচ্ছা প্রকাশ করলেন তপস্যা।
প্রতীকী ছবি।
গর্ভবতীরা টিকা নিয়েও এখনও নানা রকম দ্বিধায় রয়েছেন। অনেকেই ভাবছেন, কয়েক দিন অপেক্ষা করে দেখে নিই, অন্যরা কী করে। কেউ কেউ চিকিৎসকদের পরামর্শ নেওয়ার জন্য যোগাযোগ করতে ব্যস্ত হয়ে পড়ছেন। তবে কোনও রকম দ্বিধা না করে দ্রুত টিকাকরণ করিয়ে নেওয়ার উপদেশ দিচ্ছে কেন্দ্র। টিকাকরণ করিয়ে নিলে ক্ষতির তুলনায় লাভ বেশি বলেই মনে করছে কেন্দ্র। কারণ দেখা গিয়েছে, গর্ভবতী মহিলাদের শরীরে করোনা বাকি মহিলাদের তুলনায় বেশি ক্ষতি করতে পারে। এমনকি, ক্ষতি হয়ে যেতে পারে ভ্রুণেরও। গর্ভবতী অবস্থায় করোনা হলে বাচ্চার জন্মের পর নানা রকম জটিলতা তৈরি হতে পারে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা বা হু জানিয়েছে কোনও গর্ভবতী মহিলার কোনও রকম কোমর্বিডিটি থাকলে টিকাকরণ অবশ্যই করিয়ে নেওয়া উচিত। পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ার ভয়ে পিছিয়ে যাওয়া কাম্য নয়।