মজুত রাখুন প্রয়োজনীয় ওষুধ। ছবি: শাটারস্টক।
লকডাউনে বাড়ি থেকে বেরনোর উপায় নেই। বিপদে পড়লে হাসপাতালে যাওয়াও সমস্যার। নানা হাসপাতাল তো কোভিড সংমক্রমণের জেরে বন্ধও। এই অবস্থায় চিকিৎসকদের কাছে যাওয়াও একপ্রকার বন্ধ। ক্লিনিকও খুলছেন না অনেকেই। অগত্যা বিপদে পড়লে অনলাইনে চিকিৎসা পরিষেবা নেওয়া বা চিকিৎসককে ফোন করাই উপায়।
ওষুধপত্র জোগানও বাজারে কম, তাই জটিল কিছু না হলে নিজেকেই কিছু না কিছু সমাধান করতে হবে। তাই আপৎকালীন অবস্থায় কী ভাবে সামাল দেবেন, সে ধারণা থাকা জরুরি। হাতের কাছে মজুত রাখতে হবে এমন কিছু ওষুধ ও জিনিসপত্র যা প্রয়োজনের সময় কাজে আসবে।
ফ্রিজে থাকা বরফ: পোড়া, ছ্যাঁকা এ সব সামলানো তো বটেই, কোথাও আঘাত লাগার সময়ও খুব কাজে আসবে বরফ। তাই ফ্রিজে যেন পর্যাপ্ত বরফ থাকে। পুড়ে গেলে ঠান্ডা জল লাগানোর পরেই বরফ ঘষতে থাকুন আঘাতপ্রাপ্ত জায়গায়। কোথাও আঘাত লাগলেও একই নিয়মে বরফ দিতে থাকুন। এতেই ব্যথা-পোড়া অনেকটা সারে। অনেক সময় বরফ ঘষার ফলে ফোস্কাও পড়ে না।
আরও পড়ুন: লকডাউনে মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে নজর দিন, তরতাজা মন তৈরি করবেন কী করে?
হট ও কোল্ডব্যাগ: যে কোনও ব্যথা-বেদনায় অনেক সময়ই ঠান্ডা-গরম সেঁক নিতে হয়। তখন এই ব্যাগগুলি কাজে লাগে। পড়ে গিয়ে আঘাত লাগলে বরফ ঘষার পর খানিক ব্যথা কমতে আরম্ভ করলে গরম আর ঠান্ডা সেঁক দিলে ব্যথা আরও অনেকটা কমে। ব্যথার ওষুধ খাওয়ার চেয়ে এই পদ্ধতির শরণ শরীরের জন্যও ভাল।
টুর্নিকেট ও গজ-তুলো: কাটা-ছড়ার সমস্যায় টুর্নিকেট বেঁধে নিন ক্ষতস্থানে। টুর্নিকেট না পেলে পরিষ্কার কাচা সুতির কাপড় কাটা জায়গায় বাঁধলে রক্তক্ষরণ বন্ধ হবে।
আরও পড়ুন: লকডাউনে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে বদল আনুন ব্রেকফাস্টে, পাতে থাকুক এ সব
অ্যান্টিসেপটিক ও পোড়ার ওষুধ: জীবাণুনাশক সলিউশন ও অ্যান্টিসেপটিক কিছু ক্রিম কিনে রাখুন। পোড়া-কাটার মলম হাতের কাছে থাকলে প্রাথমিক শুশ্রূষার পর তা লাগিয়ে নিন ক্ষতস্থানে। এতে প্রাথমিক বিপদ অনেকটা কাটবে।
কিছু ওষুধ: চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়ে গ্যাস-অম্বল, বমি বা পেটের সমস্যার কিছু ওষুধ হাতের কাছে মজুত রাখুন। তবে অবশ্যই প্রাথমিক ওষুধে না কমলে চিকিৎসকের সঙ্গে কথা বলে নেবেন। বয়স্ক ও শিশুদের ওষুধ দেওয়ার আগেও ফোনে কথা বলে নেবেন চিকিৎসকের সঙ্গে।