Life Style news

২৫তম দিন: আজকের যোগাভ্যাস

লকডাউনের সময়। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরনো বারণ। তাই জিম বা যোগাসন ক্লাসে যাওয়ারও উপায় নেই। তাই সুস্থ থাকতে বাড়িতেই অভ্যাস করুন প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। আমরা সন্ধান দিচ্ছি এমন কিছু আসনের যা ঘরবন্দি দশাতেও আপনাকে সুস্থ রাখবে। আজ ২৫তম দিন।লকডাউনের সময়। খুব প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বেরনো বারণ। তাই জিম বা যোগাসন ক্লাসে যাওয়ারও উপায় নেই। তাই সুস্থ থাকতে বাড়িতেই অভ্যাস করুন প্রয়োজনীয় ব্যায়াম। আমরা সন্ধান দিচ্ছি এমন কিছু আসনের যা ঘরবন্দি দশাতেও আপনাকে সুস্থ রাখবে। আজ ২৫তম দিন।

Advertisement
শেষ আপডেট: ১৯ এপ্রিল ২০২০ ১০:৪৩
Share:

শীতকারি প্রাণায়াম। অলঙ্করণ: শৌভিক দেবনাথ।

শীতকারি প্রাণায়াম

Advertisement

শীতকারি শব্দের অর্থ শিস দেওয়ার মতো শব্দ করে শীতল বাতাস গ্রহণ করা। গুটিকয়েক প্রাণায়ামের মধ্যে এই শীতকারি প্রাণায়ামে নাকের পরিবর্তে মুখ দিয়ে শ্বাস নেওয়া হয়। অভ্যাসের সময় গুঞ্জনরত মৌমাছির মতো শব্দ করতে হয়।

কী ভাবে করব

Advertisement

• ম্যাটের ওপরে সোজা হয়ে পা মুড়ে বসুন। মাথা ও ঘাড় আরামদায়ক ভাবে সোজা রাখুন। চোখ বন্ধ করে এই অবস্থানে কিছু ক্ষণ বসুন। স্বাভাবিক ভাবে শ্বাসপ্রশ্বাস নিন।

• এ বারে এমন ভাবে ঠোঁট ফাঁক করুন, যেন দাঁত দেখা যায়। দু’পাটি দাঁতের মধ্যে কিছুটা ফাঁক রাখুন, আরামদায়ক ভাবে জিব থাকুক মুখের মধ্যে। উত্তেজিত না হয়ে শান্ত থেকে চোখ বন্ধ রাখুন।

আরও পড়ুন: ‘হটস্পট’ জেলার মধ্যে ‘কনটেনমেন্ট’ এলাকা সিল করে দিচ্ছে রাজ্য

• ধীরে ধীরে মুখ দিয়ে শ্বাস টানুন, যেন হিস হিস শব্দ হয়। মুখের ভেতর উল্লেখযোগ্য ভাবে শীতল হয়ে যাচ্ছে অনুভব করতে পারবেন।

• শ্বাস টেনে নিয়ে ঠোঁট চেপে মুখ বন্ধ করুন। এই অবস্থানে কয়েক সেকেন্ড শ্বাস ধরে রাখুন। এ বারে নাক দিয়ে ধীরে ধীরে শ্বাস ছাড়ুন। এক রাউন্ড সম্পূর্ণ হল। এই ভাবে সাত রাউন্ড অভ্যাস করতে হবে। অভ্যাস হয়ে গেলে কিছু ক্ষণ চোখ বুজে বসে স্বাভাবিক ভাবে শ্বাস প্রশ্বাস নিন।

• এই অবস্থায় অনুভব করতে পারবেন মুখের ভেতর ও সমস্ত শরীরের তাপমাত্রা কিছুটা কমেছে। চোখ খোলার আগে শান্ত ভাবে এই শীতলতা অনুভব করুন।

কেন করব

উষ্ণ আবহাওয়ায় শীতকারি প্রাণায়াম অভ্যাস শরীর ও মনকে শীতল রাখতে সাহায্য করে। আমাদের মস্তিষ্কের যে অংশ আবেগ-সহ নানা মানসিক অবস্থাকে নিয়ন্ত্রণ করে, সেই অংশে ভারসাম্য আনতে এই প্রাণায়াম উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। শীতকারি অভ্যেস করলে শরীরের নানা পেশীর আরাম হয় ও টেনশন কমে। আবার ঘুমের আগে অভ্যাস করলে ঘুমের ওষুধের মতো কাজ করে। শরীরের কোষকলাকে পুনরুজ্জীবিত করার পাশাপাশি খিদে তেষ্টার বোধ নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এই প্রাণায়াম। তাই বার বার খাওয়ার আকাঙ্খা কমে এবং মানসিক সন্তুষ্টি পাওয়া যায়। নিয়মিত অভ্যাসে আরও কিছু বাড়তি উপকার পাওয়া যায়, যেমন রক্তচাপ ও অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণে থাকার পাশাপাশি দাঁত ও মাড়ির স্বাস্থ্যও ভাল হয়।

মনে রাখবেন

শীতকালে বা ঠান্ডার দেশে এই প্রাণায়াম করা ঠিক নয়। রক্তচাপ কম থাকলে, নিশ্বাসের কষ্ট থাকলে এবং কোষ্ঠকাঠিন্যে এই প্রাণায়াম নিষিদ্ধ।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement