বিয়ের খরচে লাগাম দিতে নয়া বিলের প্রস্তাব। ছবি: সংগৃহীত।
বাঙালি হোক কিংবা পঞ্জাবি, বিয়েবাড়ি মানেই ঢালাও খাবার, অনেক অতিথির সমবেশ, এলাহি আয়োজন। তবে এ বার সেই রীতি বদলের জন্য নতুন বিলের প্রস্তাব আনা হল লোকসভায়। লোকসভার সাংসদ যশবীর সিংহ গিল শুক্রবার বিয়ে এবং সামাজিক উৎসবগুলির মতো অনুষ্ঠানে অপব্যয় বন্ধ করার উদ্দেশ্য নিয়ে লোকসভায় বিলটি আনেন। অনুষ্ঠানবাড়ির খরচ সবার জন্য একটি নির্ধারিত সীমায় বেঁধে দেওয়ার প্রস্তাব করা হয় সেই বিলে। এই প্রস্তাবিত বিলে বরযাত্রীর সংখ্যা ৫০ জনের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখা এবং মেনুতে পদের সংখ্যা ১০-এর মধ্যে রাখার কথা বলা হয়েছে।
লোকসভায় এই কংগ্রেস সাংসদ বলেন, ‘‘‘বিশেষ উপলক্ষে অপব্যয় ব্যয় প্রতিরোধ’ নামক প্রস্তাবিত বিলটি সমাজের সুবিধাবঞ্চিত ব্যক্তিদের জীবনে ইতিবাচক পরিবর্তন আনবে এবং বিলটি পাশ হলে কন্যাভ্রুণ হত্যার মতো মর্মান্তিক অপরাধও বন্ধ হবে।’’ এই বিলে আরও বলা হয় বিয়ের অনুষ্ঠানে ২৫০০ টাকার বেশি নগদ কিংবা উপহার দেওয়া যাবে না, ১০০ জনের বেশি অতিথিকে নিমন্ত্রণও করা যাবে না।
এই বিলের আসল উদ্দেশ্য হল বিয়ের মতো সামাজিক অনুষ্ঠানগুলিতে অর্থের অপচয় বন্ধ করা। অর্থ থাকলেই অনেকে তার প্রদর্শন করেন বিয়েতে। সেটা রুখে দেওয়ার জন্যই এই বিল বলে দাবি করেন পঞ্জাবের খাদুর সাহিব লোকসভা কেন্দ্রের সাংসদ। ভারতে অনেক বাবা-মাকেই মেয়ের বিয়ে দিতে হলে লোকের কাছ থেকে টাকা ধার নিতে হয়। এই ধার শোধ করতে ঘর-বাড়ি, জমিজমা সব হারিয়ে পথে বসতে হয় তাঁদের। তাঁর উপর যৌতুকের জন্য অর্থ জোগাড় করতেও সমস্যার সম্মুখীন হতে হয়। বিলটি পাশ হয়ে গেলে কন্যাসন্তানকে আর বোঝা মনে করা হবে না, এমনই আশা করছেন যশবীর।