বর্ষায় জোর দিন প্রতিরোধশক্তি বাড়ানোর উপর। ছবি: শাটারস্টক।
রোজ সকালে খালি পেটে একটুকরো আমলকি। ব্যস, তাতেই নীরোগ হবে শরীর। শতাব্দীপ্রাচীন এই আয়ুর্বেদিক টোটকার গুণ অনেক। বর্ষায় সর্দি-কাশি তো দূরে থাকেই, এমনকি ব্যাক্টেরিয়া সংক্রমণের হাত থেকে রেহাই পেতেও আমলকির উপর ভরসা রাখা যায়। প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায়, এটি শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে।
কেন রোজ আমলকি খাবেন?
১) দূষণের কারণে অনেকেরই অল্প বয়সে চুলে পাক ধরে। চুলের স্বাভাবিক ঔজ্জ্বল্য ধরে রাখতে আমলকি দারুণ উপকারী। বর্ষায় চুল ঝরে যাওয়া প্রতিরোধ করতেও এই দাওয়াই দারুণ কার্যকর। আমলকির ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস এবং ভিটামিন সি স্ক্যাল্পের রক্তসঞ্চালন বাড়িয়ে চুল লম্বা এবং ঘন হতে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা নেয়। কারণ, আমলকির ফাইটোনিউট্রিয়েন্টস চুলের গোড়ায় কোলাজেন নামে এক বিশেষ প্রোটিন তৈরি করে। আমলকির ভিটামিন সি প্রদাহ ও সংক্রমণ প্রতিরোধ করার পাশাপাশি শুষ্ক স্ক্যাল্পকে আর্দ্র করে খুশকির সমস্যা সারিয়ে তোলে।
২) আমলকি ত্বকের প্রিয় বন্ধু। এতে উপস্থিত ভিটামিন সি ব্রণ, মেচেতার দাগ মুছে ফেলার পাশাপাশি বলিরেখা দূর করতে সাহায্য করে। দূষিত পরিবেশে ত্বক জেল্লাহীন হয়ে পড়ে। নিয়মিত আমলকি খেলে নিষ্প্রাণ ত্বক, চুল, সব মিলিয়ে গোটা চেহারাই সজীব হয়ে ওঠ
আমলকি ত্বকের প্রিয় বন্ধু। ছবি: সংগৃহীত।
৩) কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় ইসবগুল, ওষুধ খেয়েও অনেক সময়ে উপকার হয় না। সেই সময়ে আমলকি কিন্তু বিশেষ ভাবে কাজে আসে। হজম সংক্রান্ত সমস্যা দূর করে কোষ্ঠ পরিষ্কার রাখে আমলকি। হজমের সমস্যায় আমলকি ভাল দাওয়াই।
৪) বর্ষার মরসুমে অনেকেই অ্যালার্জি ও ফুসফুসের সমস্যায় ভোগেন। এই সমস শরীর চাঙ্গা রাখতে ও প্রদাহ কমাতে নিয়ম করে আমলকি খেতে পারেন।
৫) বর্ষায় সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ে। ভাইরাস, ব্যাক্টেরিয়া কিংবা ছত্রাকের হানায় শরীরে বাসা বাঁধে রোগব্যাধি। সংক্রমণের ঝুঁকি এড়াতে রোজ নিয়ম করে আমলকি খেতে পারেন।