বাঘের গর্জন এ বার বইতে। —নিজস্ব চিত্র।
সালটা ১৯৭৩। কেন্দ্রীয় সরকার শুরু করে ‘প্রোজেক্ট টাইগার’। এ বছর সেই প্রকল্পের পঞ্চাশ বছর পূর্ণ হল।
১৯৭২ সালে সরকার বন্যপ্রাণীর শিকার ও সেই সংক্রান্ত ব্যবসা বন্ধ করতে বিশেষ আইন প্রণয়ন করে ভারত সরকার। এই আইনের মাধ্যমে বনসম্পদ ব্যবহারের অধিকারের ভিত্তিতে বিভিন্ন সংরক্ষিত অঞ্চল তৈরি করা হয়। যেমন জাতীয় উদ্যান, যেখানে জঙ্গলে বসবাসকারীদের বনজ সম্পদের উপর কোনও অধিকার নেই। অন্য দিকে রয়েছে অভয়ারণ্য, যেখানে অনুমতিক্রমে তাঁরা সীমিত বনজ সম্পদ ব্যবহার করতে পারেন। পরে কেন্দ্রীয় বন ও পরিবেশ দফতর বাঘ সংরক্ষণের লক্ষ্যে এই আইন সংশোধন করে ‘টাইগার রিজ়ার্ভ’ তৈরি করছে, বাঘ সংরক্ষণ পরিচালনায় তৈরি হয়েছে ‘ন্যাশনাল টাইগার কনজ়ার্ভেশন অথরিটি’।
১৯৭৩-এ ৯টি টাইগার রিজ়ার্ভ নিয়ে শুরু হয় ‘প্রোজেক্ট টাইগার’, এখন দেশে মোট ১৯টি রাজ্যে ৫০টিরও বেশি টাইগার রিজ়ার্ভ রয়েছে। প্রকল্পের শুরুতে বাঘের সংখ্যা ছিল প্রায় ১৮২৭। এখন সেই সংখ্যা ৩৬৮২।
‘প্রোজেক্ট টাইগার’-এর ৫০ বছর পূর্তিতে প্রকাশিত হল শিলাদিত্য চৌধুরী এবং কেতন সেনগুপ্তর বই ‘রোর’। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় শহরের এক বিলাসবহুল হোটেলে বই প্রকাশ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন প্রাক্তন মুখ্য বনসংরক্ষক আধিকারিক সুনীল লিমায় এবং প্রদীপ ব্যাস। ‘রোর’ বইটিতে দু’জন লেখক দেশের ছোট-বড় বিভিন্ন জঙ্গল সফরের নানা অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিয়েছেন। কেবল বাঘের গল্প নয়, বইতে পাবেন পেঁচ, কানহা, বান্ধবগড়, সুন্দরবনের মতো অরণ্যের নানান রোমাঞ্চকর ঘটনা। শুধু গল্পই নয়, এই বইতে ছাপানো হয়েছে শিলাদিত্য চৌধুরীর তোলা দেশের জঙ্গলে ‘বাঘ মামার’ নানা মুহূর্তের ছবি। সেই সব ছবি বইটিকে বইপ্রেমী তথা জঙ্গলপ্রেমীদের কাছে অনেক বেশি আকর্ষণীয় করে তুলবে, এমনটাই মনে করছেন শিলাদিত্য।