ছাত্ররাও অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শুনছেন। প্রতীকী ছবি।
মধ্য চিনের একটি কলেজ সম্প্রতি সমালোচনার কেন্দ্রে উঠে এসেছে। বেশ কিছু দিন আগেই চিনের ‘কলেজ অফ সায়েন্স টেকোনোলজি অ্যান্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি’-র এক জন শিক্ষিকা ঝাং-এর ছাত্র পড়ানোর একটি ভিডিয়ো প্রকাশ্যে এসেছিল। ভিডিয়োটি ওই কলেজের নিজস্ব ফেসবুকের পাতা থেকে পোস্ট করা হয়েছিল। ভিডিয়োটিতে দেখা যাচ্ছিল, ঘরভর্তি পড়ুয়াকে পড়াচ্ছেন ঝাং। ছাত্ররাও অত্যন্ত মনোযোগ দিয়ে তাঁর কথা শুনছেন। প্রথম বেঞ্চ থেকে শেষ পর্যন্ত পুরো ভর্তি। সকলেই ক্লাসে উপস্থিত রয়েছেন। ভিডিয়োটির উপরে লেখা রয়েছে, ‘‘ঝাং-এর ক্লাসেই এক মাত্র ছাত্রদের উপস্থিতি একশো শতাংশ থাকে।’’
এই ভিডিয়োর সঙ্গে থাকা এই মন্তব্যটি নিয়েই ওই স্কুলের বিরুদ্ধে উঠেছে সমালোচনার ঝড়। ঝাং-কে দেখলে বোঝা যায় যে, তিনি অত্যন্ত সুন্দরী। বয়সেও তরুণী। অনেকের মনে হয়েছে, ছাত্র ধরে রাখতে ঝাং-এর সৌন্দর্য কাজে লাগাচ্ছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। পড়ুয়ারা যাতে নিয়মিত ক্লাসে আসে, তার জন্য এমন সুন্দরী শিক্ষিকা নিয়োগ করেছে কলেজ। ঝাং নেটমাধ্যমেও দারুণ জনপ্রিয়। তাঁর অনুগামীর সংখ্যা প্রায় চার লক্ষ। সেই অনুরাগীদের মধ্যে তাঁর ছাত্ররাও রয়েছেন।
ঝাং-এর ছাত্র পড়ানোর ওই ভিডিয়োটি ভাইরাল হয়ে যায়। বহু জনে নানা মন্তব্য করতে থাকেন। অনেকেই বেসরকারি ওই কলেজের নিয়োগ পদ্ধতির বিরুদ্ধে আঙুল তুলেছেন। প্রথম দিকে এই বিতর্ক এড়িয়ে গেলেও, সম্প্রতি এই বিষয়ে মুখ খুলেছেন কলেজ কর্তৃপক্ষ। তাঁদের উত্তর, ঝাং সুন্দরী, এ বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই। তবে তাঁকে নিয়োগ করার সেটাই একমাত্র কারণ ছিল না। ঝাং লেখাপড়ায় অত্যন্ত মেধাবী। হেনান বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ‘শিজ্ঞাবিজ্ঞান’-এ স্নাতকোত্তরে খুব ভাল ফল করেছেন। মেধার গুণেই তাঁকে নিয়োগ করা হয়েছে। আর কোনও কারণ নেই। ছাত্ররা ঝাং-এর পড়ানো মন্ত্রমুগ্ধের মতো শোনেন। সেই জন্যেই সকলে ভিড় করে তাঁর ক্লাসে আসেন। এর পিছনে অন্য কোনও কারণ নেই।