ডিম টাটকা রাখার উপায়। ছবি: সংগৃহীত।
যতই মাছ, মাংসের প্রতি ভালবাসা থাক, বাঙালির রোজের খাওয়াদাওয়া ডিম থাকেই। সেদ্ধ থেকে পোচ, অমলেট থেকে ভুর্জি— ডিমের সঙ্গে বাঙালির সম্পর্ক চিরন্তন। মাছ দিয়ে ভাত খাওয়াতে নাকের জলে-চোখের জলে হতে হয়, পাতে ডিম থাকলে সেই খুদেই সোনামুখ করে খেয়ে নেয়। ডিমের মাহাত্ম্য এমনই। তাই বাড়িতে ডিমের ভাণ্ডার শেষ হওয়ার আগেই শূন্যস্থান পূরণ হয়ে যায়। অনেকে আবার একসঙ্গে বেশি করে ডিম কিনে রাখেন। যাতে ঘন ঘন দোকানে যেতে না হয়। নিঃসন্দেহে ভাল সিদ্ধান্ত। তবে সমস্যা একটাই। ডিম অনেক সময় পচে যায়। বেশি করে ডিম কিনে অনেকেরই এই অভিজ্ঞতা হয়েছে। অনেকেই তাই ডিম কী ভাবে টাটকা রাখবেন, সেই উপায় খোঁজেন। সম্প্রতি ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োয় ডিম টাটকা রাখার হদিস দিলেন রন্ধনশিল্পী রণবীর ব্রার।
রণবীর জানিয়েছেন, ডিম বেশি দিন রাখলে যে বিষাক্ত হয়ে উঠতে পারে, সে বিষয়টি অনেকেই জানেন না। নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত কাঁচা ডিম ভাল থাকে। সেই সময়সীমা পেরিয়ে গেলে ডিমের সতেজতা এবং গুণমান দু’টোই নষ্ট হয়। তা হলে ডিম টাটকা রাখার কৌশলগুলি কী?, অনেকেই দোকান থেকে ডিম কিনে এনে সোজা ফ্রিজে ঢুকিয়ে দেন। রণবীরের মতে, ফ্রিজে রাখলেও একটা সময় পর ডিম নষ্ট হতে শুরু করে। সেটা বোঝার কোনও উপায় নেই, যা আরও মুশকিলের। ডিম ভিতরে ভিতরে খারাপ হতে শুরু করলেও গন্ধ, স্বাদের কোনও তারতম্য বোঝা যায় না। তাই কী ভাবে সংরক্ষণ করছেন, তার উপর ডিমের ভালমন্দ নির্ভর করে বলে জানাচ্ছেন রণবীর। তা হলে কী ভাবে সংরক্ষণ করলে দীর্ঘ দিন ভাল থাকবে ডিম?
১) মাটির কলসিতে জল রেখে খান অনেকেই। তবে মাটির পাত্রে শুধু জল নয়, ডিম রাখলেও উপকার পাওয়া যাবে। মাটির পাত্রে ডিম রাখলে দীর্ঘ দিন তা তাজা থাকে। মাটির কলসি কিংবা পাত্রের মধ্যে ডিম রাখতে পারেন। সে ক্ষেত্রে পাত্রের বাইরেটা ভিজে কাপড় দিয়ে মুড়ে দিন।
২) ২-৩ সপ্তাহের জন্য ডিম সংরক্ষণ করতে চাইলে নুন ব্যবহার করতে পারেন। একটি বড় বাক্সে নুন রেখে তার উপর ডিমগুলি সাজিয়ে রাখুন। ডিমের উপরেও খানিকটা নুন ছড়িয়ে দিন। তার পর বাক্সের মুখ বন্ধ করে দিন। কয়েক সপ্তাহ বেশ ভাল থাকবে ডিম।
৩) বায়ু চলাচল করে, এমন জায়গায় ডিম রাখুন। বাতাসের সংস্পর্শে থাকলে ডিম সহজে পচে যাবে না। বদ্ধ জায়গায় রাখলে ডিম খুব দ্রুত নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই দীর্ঘ দিন ডিম ভাল রাখতে চাইলে খোলা জায়গায় রাখুন