চ্যাটজিটিপি৪ নামক চ্যাটবট, পোষ্যের বিরল রোগের সমাধান করতেও সক্ষম। ছবি- প্রতীকী
সারা বিশ্ব জুড়েই এখন চ্যাটজিপিটি-র রমরমা। বড় বড় সংস্থা থেকে ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠান, সর্বত্রই নতুন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে দৈনন্দিন কাজকর্মকে আরও সহজ করে তোলার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যেই বিভিন্ন ক্ষেত্রে এই প্রযুক্তি তার বুদ্ধিমত্তার প্রমাণ দিয়ে মানুষের মন জয় করেছে। তবে এ বারের ঘটনা একটু ভিন্ন। চ্যাটজিটিপি৪ নামক চ্যাটবটটি পোষ্যের বিরল রোগের সমাধান করে, তাক লাগিয়ে দিয়েছে। সে ঘটনাই ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমে।
কুপার নামের এক ব্যক্তি জানান, এক প্রকার পরজীবী বাহিত যে রোগ তাঁর পোষ্য কুকুর স্যাসির শরীরে বাসা বেঁধেছিল। তার থেকে কী ভাবে এই চ্যাটবটটি তাকে প্রাণে বাঁচাতে সাহায্য করেছিল, তা জানান কুপার। বিশেষ এক ধরনের রক্তাল্পতায় ভুগছিল কুপারের চারপেয়েটি। চিকিৎসকের পরামর্শ নিয়েও যখন কোনও উন্নতি হচ্ছে না, তখন এই প্রযুক্তির সাহায্য নিতে বাধ্য হন কুপার। তিনি বলেন, “জিপিটি৪ এই যাত্রায় আমার পোষ্যটিকে বাঁচিয়ে দিয়েছে। স্যাসির চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী সব রকম ওষুধ চলছিল। কিন্তু তাতে বিশেষ কাজ হচ্ছিল না। শেষে এই চ্যাটবটটি আমাকে এবং স্যাসিকে এই সমস্যা থেকে উদ্ধার করে।”
কুপার জানান, কোনও ওষুধে যখন রোগের প্রকোপ কমছিল না, তখন এই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কাছে তিনি পোষ্যের রোগের সব লক্ষণের কথা উল্লেখ করে জানতে চান তার সমাধান। স্যাসির ক্ষেত্রে সেই সমাধান কাজে লেগে যায়। স্যাসি এখন সম্পূর্ণ সুস্থ। তবে সব ক্ষেত্রে যে এই প্রযুক্তি কাজে লাগবে, এমনটা নয়। তাই কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা কখনওই পশু চিকিৎসকের বিকল্প হতে পারে না বলেই মত দিচ্ছেন চিকিৎসক থেকে বিজ্ঞানী, অনেকেই।