নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য চোখে ‘আইমাস্ক’ ব্যবহার করা জরুরি। ছবি- সংগৃহীত
সুস্থ শরীর পেতে গেলে দিনে ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন। চিকিৎসকেরা বলেন, পর্যাপ্ত ঘুম হলে বহু জটিল রোগ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব। কিন্তু দৈনন্দিন জীবনে নানা রকম মানসিক চাপ শান্তির ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায়। সম্প্রতি এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ভাল ঘুম আনতে অন্ধকারের যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। ঘরের সব আলো নেভানো থাকলেও আশপাশ থেকে আসা বিচ্ছুরিত আলো, মেলাটোনিন উৎপাদনে ব্যাঘাত ঘটায়। ঘুমের পুরো চক্রটি নির্ভর করে এই মেলাটোনিন হরমোনের উপর। স্বাভাবিক ভাবেই এই হরমোনের ভারসাম্য বিঘ্নিত হলে ঘুম আসতে চায় না। তবে চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, শুধু আলো বা আবহ নয়, অনেকের ক্ষেত্রেই অনিদ্রার কারণ হতে পারে বয়স। আবার অত্যাধিক পরিশ্রমেও ঘুম আসতে চায় না অনেকের। তাই নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের জন্য চোখে ‘আইমাস্ক’ ব্যবহার করা জরুরি।
ঘুমোনোর সময়ে চোখে মাস্ক লাগানো কি আদৌ ভাল?
‘স্লিপ জার্নাল’-এ প্রকাশিত তথ্যে বলা হয়েছে, রাতে আলো না বন্ধ থাকলেও ঘরের মধ্যে আশপাশ থেকে আসা আলোয় মস্তিষ্ক আরও সজাগ হয়ে ওঠে। রাতে শোয়ার পরও সারা দিনের কাজের নানা ঝলক ভেসে উঠতে থাকে। এ ধরনের কৃত্রিম আলো ঘুমে ব্যাঘাত ঘটায় এবং মেলাটোনিন উৎপাদনে বাধা দেয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চোখে মাস্ক ব্যবহার করা যেতেই পারে।
‘ন্যাশনাল লাইব্রেরি অফ মেডিসিন’-এ প্রকাশিত অন্য আরও একটি গবেষণায় বলা হয়েছে, হাসপাতালের ইনটেনসিভ কেয়ার ইউনিটে ভর্তি থাকা রোগীদের ক্ষেত্রেও এই মাস্কের ব্যবহার যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। কারণ, সেখানকার আবহ এবং আশপাশ থেকে আসা আলোয় ঘুমের ব্যাঘাত ঘটা স্বাভাবিক। তাই চোখের চাপা দেওয়া মাস্কটি সারা দেহে এক প্রশান্তির ছায়া এনে দেয়। সারা দিনের ক্লান্তি এক নিমেষে দূর হয়ে যায়। সহজেই চোখে ঘুম নেমে আসে।