— প্রতীকী চিত্র।
ভোটার আই কার্ড, আধার কার্ড কিংবা গাড়ির লাইসেন্স-এ নিজের ‘বদন’ দেখে নিজেকেই চিনতে পারেন না। সকলের সামনে বার করতেই লজ্জা লাগে। তাই পাসপোর্টের জন্য ছবি তুলতে যাওয়ার আগে একটু-আধটু মেকআপও করেছেন। কিন্তু পাসপোর্টের ছবি তোলারও তো নানা রকম নিয়মকানুন আছে। তাই ভয় লাগছে। পাসপোর্টের ছবি থেকে নথিপত্র, একটু এ দিক-ও দিক হলেই মুশকিল। নিয়ম মেনে সবটা করতে না পারলে, তীরে এসে তরী ডুবে যাওয়ার উপক্রম হবে। আধিকারিকরা সমস্ত প্রক্রিয়া সটান বাতিল করে দিতে পারেন। শেষ মুহূর্তে পাসপোর্ট বাতিল হয়ে গেলে তো বিদেশে ঘুরতে যাওয়ার সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে যাবে। তা হলে কী করবেন? অভিজ্ঞরা বলছেন, পাসপোর্টের জন্য ছবি তুলতে গেলেও কিন্তু মেকআপ করা যায়। অবশ্য তারও কিছু বিধিনিষেধ রয়েছে। মেকআপ করে মুখের আদল বদলে গেলে তা কিন্তু পরিচয়পত্রে ব্যবহার করা যাবে না। যেমন ছবিতে কোনও প্রযুক্তির ব্যবহারও একেবারে নিষিদ্ধ।
পাসপোর্টের ছবি তুলতে যাওয়ার আগে কেমন মেকআপ করবেন?
একেবারে ‘নো মেকআপ লুক’ পাসপোর্টের জন্য আদর্শ। ন্যুড মেকআপও চলতে পারে। চোখে হালকা কাজল, ঠোঁটে লিপ গ্লস এবং যৎসামান্য ফাউন্ডেশন— এটুকুই যথেষ্ট। ছবি তোলার সময়ে চোখে চশমা পর্যন্ত রাখা যায় না। তাই খুব দামি, পছন্দের চশমা পরে ছবি তোলার সাধ না রাখাই ভাল। খুব ভারী গয়না, কানে দুল কিংবা জমকালো পোশাক পরতে সাধারণত বারণ করা হয়।
ছবি তোলার আগে কী কী মাথায় রাখবেন?
১) পাসপোর্টের ছবিতে সাধারণত মুখ এবং গলার অংশটুকু দেখা যায়। তাই খুব বেশি মেকআপ করেও লাভ হবে না। চোখের পাতার উপর চকচকে কোনও লাইনারও ব্যবহার করবেন না।
২) ছবি তোলার সময়ে অনেকের চোখ বন্ধ হয়ে যায়। এমন ছবি উঠলে কিন্তু তা বাতিল হয়ে যেতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে।
৩) ছবি তোলার সময়ে যেন নিজের অবয়বের ছায়া পিছনে কিংবা আশপাশে না পড়ে। সতর্ক থাকবে হবে সেই বিষয়েও। ছবির ব্যাকগ্রাউন্ড সাদা হলেই ভাল।