মানুষের লোভে শিং হারাবে গন্ডার? —ফাইল চিত্র
গত এক শতকে অনেকটাই ছোট হয়ে গিয়েছে গন্ডারের খড়্গ, এমনই তথ্য উঠে এল কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের একদল গবেশকের গবেষণায়। আর গন্ডারের শিংয়ের দৈর্ঘ্য কমে যাওয়ার জন্য গবেষকরা দায়ী করছেন মাত্রাতিরিক্ত গন্ডার শিকারকেই।
বিজ্ঞান পত্রিকা ‘পিপল অ্যান্ড নেচার’-এ প্রকাশিত ওই গবেষণাপত্রে একশো চল্লিশ বছরে গন্ডারের খড়্গের দৈর্ঘ্য পরীক্ষা করেছেন গবেষকরা। সাদা, কালো, ভারতীয়, জাভা ও সুমাত্রার গন্ডারের উপর চালানো হয়েছে পরীক্ষা। মোট আশিটি নমুনা পরীক্ষা করেছেন তাঁরা। যে ক্ষেত্রে নমুনা পাওয়া যায়নি, সে সব ক্ষেত্রে ছবি থেকে পাওয়া গন্ডারের ছবি থেকে আনুপাতিক হারে গন্ডারের খড়্গের দৈর্ঘ্য মেপেছেন গবেষকরা।
দীর্ঘ দিন ধরেই শিংয়ের জন্য গন্ডার শিকার করছে মানুষ। —ফাইল চিত্র
কেমব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যার গবেষক অস্কার উইলসন জানিয়েছেন, বিভিন্ন গন্ডারের বিভিন্ন কারণে খড়্গ ব্যবহার করে। কোনও প্রজাতি আত্মরক্ষার জন্য এই শিং ব্যবহার করে বেশি, কোনও প্রজাতির ক্ষেত্রে বড় শিং সহায়তা করে বংশবিস্তারে। বিংশ শতকের শুরুতে পৃথিবীতে অন্তত ৫ লক্ষ গন্ডার ছিল। কিন্তু এখন আর তিরিশ হাজার গন্ডারও অবশিষ্ট নেই পৃথিবীতে। গবেষকরা জানাচ্ছেন, দীর্ঘ দিন ধরেই শিংয়ের জন্য গন্ডার শিকার করছে মানুষ। যে গন্ডারের শিং বেশি লম্বা সেগুলি আগে শিকার করা হয়। সেই তুলনায় স্বল্প দৈর্ঘ্যের খড়্গের গন্ডারগুলি কম আক্রান্ত হয়, সেই গন্ডারগুলিই বংশবিস্তারের সুযোগ পায়। ফলে যে গন্ডারের শিং ছোট, সেগুলির জিনই পরবর্তী প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়। এর ফলেই প্রজন্মের পর প্রজন্মে কমছে গন্ডারের শিংয়ের দৈর্ঘ্য, দাবি গবেষকদের।