The Adventures of Tintin

গড়িয়াহাটে টিনটিন! এক ঝাঁক ফ্যানের আড্ডায় হাজির হ্যাডক, কুট্টুসও

টিনটিনময় এই থিম রেস্তরাঁতে ভিড় জমিয়েছেন আমার মতোই আরও জনা পনেরো টিনটিন প্রেমী।

Advertisement

ঋত্বিক দাস

কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অগস্ট ২০১৯ ১১:৩৫
Share:

টিনটিন অ্যান্ড দ্য ব্রাসেলস ক্লাবে চলছে আড্ডা। —নিজস্ব চিত্র।

খবরটা আগে থেকেই ছিল যে তিনি আসছেন। কবে, কোথায়, কখন, সেই তথ্যগুলোয় ছড়িয়ে পড়েছিল হোয়াটসঅ্যাপে। কিন্তু না আঁচিয়ে বিশ্বাস নেই। কারণ শেষবার দিল্লি ছুঁয়ে তিব্বতে গেলেও তিনি ফাঁকিই দিয়েছেন ভারত ভ্রমণে। তাই কৌতূহল, উৎকণ্ঠা মিলেয়ে একটা ইমোশন মনের মধ্যে কাজ করছিল— দেখাটা হবে তো শেষমেশ! জুলাইয়ের একটা শুক্রবারের বিকেল, মেঘে-রোদ্দুরে লুকোচুরি শেষে সন্ধে নামছে শহরে। উইকেন্ড এল বলে, অফিস ফেরত কলকাতা তখন ছুটছে। যানজটের গোলকধাঁধা পেরিয়ে পৌঁছে যাওয়া গড়িয়াহাট চত্বরের সেই ঠিকানায়। টিনটিন অ্যান্ড দ্য ব্রাসেলস ক্লাব। এখানেই সন্ধে সাতটায় টিনটিন, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, কুট্টুসদের সঙ্গে দেখা হওয়ার কথা।

Advertisement

টিনটিনময় এই থিম রেস্তরাঁতে ভিড় জমিয়েছেন আমার মতোই আরও জনা পনেরো টিনটিন প্রেমী। রেস্তরাঁর একটা বড় ঘর, এক ধারে পিয়ানো, দেওয়ালে টিনটিন আর ক্যাপ্টেনের নানা মেজাজের ছবি। সেখানেই অপেক্ষা। গোল্ডেন ফ্লিস নামে একটা বড় নৌকা ঘিরে তৈরি হওয়া রহস্যের সমাধানেই টিনটিনের আসার কথা। কিন্তু বেলজিয়ামের ওয়ালুন ব্রেবান্তের মার্লিনস্পাইক হল ছেড়ে হঠাৎ সাড়ে সাত হাজার কিলোমিটার দূরে কলকাতায় আসার কী দরকার পড়ল চিরযুবক সাংবাদিকের!

আসলে চলতি বছরের ১০ জানুয়ারি, টিনটিনের ৯০তম জন্মদিনে শহরের জনা আষ্টেক টিনটিন অনুরাগী খুলে ফেলেন একটি ফ্যান ক্লাব। সেই শুরু— এর পর নানা ফাঁকতালে কখনও কুইজ, কখনও সেলেব্রিটি টক শো-র ছলে টিনটিন উদযাপন। সেই সূত্রেই কলকাত্তাইয়া আড্ডায় টিনটিনের আগমন।

Advertisement

আরও পড়ুন: ওষুধেই সম্পূর্ণ রোগমুক্তি ফুসফুসের ক্যানসারে! কী ভাবে সম্ভব করছেন বিশেষজ্ঞরা? রোগ ঠেকাবেন কী করে?

যার জন্য এই জমায়েত, শেষমেশ তিনি এলেন কি? হ্যাঁ, নীল জামা, ব্রাউন প্যান্ট, সোনালি চুলের বেঁটেখাটো মানুষটা ধরা দিলেন অবশেষে। না, সশরীরে নয়, ধরা দিলেন বড় পর্দায়। টিনটিন ফ্যান ক্লাবের উদ্যোগে এদিন দেখানো হল ১৯৬১ সালে টিনটিনকে নিয়ে তৈরি প্রথম সিনেমা, টিনটিন অ্যান্ড দ্য গোল্ডেন ফ্লিস। দেড় ঘণ্টার সেই সিনেমা শেষের আড্ডাও টিনটিনময়। কারও ব্যবসা, কারও চাকরি, কেউ হাউজওয়াইফ, শৈশব হাতড়ে তুলে আনলেন টিনটিনের কাণ্ডকারখানা ঘিরে নানা স্মৃতি, নানা গল্প। কেউ মাত্র ষাট টাকায় কিনেছিলেন টিনটিনের বই, কেউ আবার হোমওয়ার্ক শেষ করার পুরস্কার স্বরূপ গৃহশিক্ষকের থেকে পড়তে পেতেন একটা করে বই। ঠিক যেন বন্ধুদের আড্ডার মাঝে চর্চা আর এক বন্ধুকে নিয়ে, যে বন্ধুর নাম টিনটিন। ব্রাসেলসের সেই সাহসী সাংবাদিক তাই কলকাতায় না এসেও, দিব্যি হাজির থাকলেন গড়িয়াহাটের আড্ডার ঠেকটায়।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement