ফিটনেস সচেতন বলেই এখন বলিউ়ডে পরিচিত অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিংহ। ছবি: সংগৃহীত
বলিউডে টিকে থাকতে গেলে ওজন কমিয়ে ছিপছিপে হতেই হবে। বি-টাউনে পা দেওয়ার আগে এমনই শুনতে হয়েছিল তাঁকে। ‘রানওয়ে ৩৪’-এর অভিনেত্রী তখন একেবারে নতুন। সবে কড়া নাড়ছেন টিনসেল নগরীর দরজায়। শেষ পর্যন্ত ‘দে দে প্যায়ার দে’ ছবিতে কাজের সুযোগ পেয়ে মাত্র ৫০ দিনে দশ কেজি ঝরিয়ে ফেলেন অভিনেত্রী। অভিনয়ের দুনিয়ায় একেবারে নতুন মুখ রকুলপ্রীত পড়েছিলেন মহা বিভ্রান্তিতে। একইসঙ্গে দক্ষিণী ইন্ডাস্ট্রি এবং বলিউডে কাজ পাওয়ার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। এক দিকে দক্ষিণী প্রযোজক-পরিচালকদের কাছে শুনতে হচ্ছে, তিনি বড্ড রোগা। অন্য দিকে, বলিউড বলছে হিন্দি ছবিতে কাজ করতে হলে ওজন কমাতেই হবে! কী করবেন— রকুলপ্রীত বুঝে উঠতে পারছিলেন না!
শেষ পর্যন্ত বলিউ়়ডে থিতু হন তিনি। তার পর থেকেই জেদ চেপে বসে নিজেকে যোগ্য করে তোলার। অভিনেত্রী হিসাবে তো বটেই। তিনি বুঝতে পারেন বলিউডের এই বিপুল প্রতিযোগিতায় টিকে থাকতে শুধু অভিনয় জানলে হবে না। বাহ্যিক বদলও প্রয়োজন। শুরু করেন পরিশ্রম।
অনুরাগীরা জানতে চান তাঁদের প্রিয় নায়িকা কী ভাবে সব সময় এত ফিট থাকেন। ছবি: সংগৃহীত
ফিটনেস সচেতন বলেই এখন বলিউ়ডে পরিচিত অভিনেত্রী রকুলপ্রীত সিংহ। রোজ নিয়ম করে শরীরচর্চার অনুশীলন করে থাকেন। এমনকি শরীরচর্চার জন্য আলাদা সময় না পাওয়ার কারণে তাঁকে সাইকেলে চেপে শ্যুটিংয়ে যেতেও দেখা গিয়েছে এর আগে। সেই ভিডিয়ো রকুলপ্রীত নিজেই তাঁর ইনস্টাগ্রামে দিয়েছিলেন। অনেককেই সেই ভিডিয়োটি অনুপ্রাণিত করেছিল বলে ইনস্টাগ্রামে জানিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগীরা। অভিনেত্রী মাঝেমাঝেই ইনস্টাগ্রামে তাঁর শরীরচর্চার ভিডিয়ো ভাগ করে নেন ভক্তদের সঙ্গে। অনুরাগীরা জানতে চান তাঁদের প্রিয় নায়িকা কী ভাবে সব সময় এত ফিট থাকেন। সোমবার, রকুলপ্রীতের ৩২ তম জন্মদিনে জানা গেল তাঁর ফিটনেস রুটিন।
রকুলপ্রীত সকাল শুরু করেন একগ্লাস ঈষদুষ্ণ জল খেয়ে। তার পরেই শুরু হয়ে যায় তাঁর শরীরচর্চার পর্ব। শেষ হলে চুমুক দেন ঘি কফির কাপে। রকুলপ্রীতের সকালের জলখাবারে থাকে দোসা, বিভিন্ন রকম সব্জি দিয়ে তৈরি এক বাটি সম্বর। বাড়ির খাবার খেতেই ভালবাসেন নায়িকা। তাই দুপুরের খাবারেও থাকে বাড়িতে তৈরি ভাত, ডাল, স্যালাড এবং জোয়ারের রুটি। রাতে খাবার তাড়াতাড়ি সন্ধ্যা ৬ টার আগেই খেয়ে নেন। নায়িকার নৈশভোজে থাকে ভাত, সব্জি এবং স্যালাড।