এই প্রথার কি আদৌ কোনও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি আছে? প্রতিকী ছবি
হিন্দু ধর্মে বিয়ে মানেই হাজার রীতি-নীতি। তবে সব রীতি-নীতি আদৌ যুক্তিযুক্ত কি না, সেই নিয়ে প্রশ্ন করলেই মুশকিল! বিয়ের পর প্রথম রাতে কনে হাতে করে একটা বড় গ্লাসে দুধ নিয়ে ফুলশয্যায় যাওয়ার রীতিটাও চলে এসেছে বছরের পর বছর ধরে। আপনার মনে প্রশ্ন আসতেই পারে যে, এই রীতির পিছনে যুক্তিটা কি ঠিক?
কেবল দুধ নিয়ে যাওয়া হয় না, দুধের সঙ্গে মেশানো হয় কেশর। হিন্দু ধর্মে দুধ ভীষণই শুভ। তাই দম্পতির নবজীবনের সূত্রপাত যেন শুভ হয়, সেই জন্যেই মূলত এই রীতির প্রচলন করা হয়। তবে ধর্মীয় কারণ ছাড়াও এই প্রথার বৈজ্ঞানিক ভিত্তিটাও একেবারে উড়িয়ে দেওয়া যায় না।
বিয়ের সময় নানা আচার-অনুষ্ঠান শেষে বর-কনে উভয়ের উপরই মানসিক ও শারীরিক ধকল যায়। কেশরে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা মানসিক চাপ কমিয়ে মন শান্ত করতে সাহায্য করে। উদ্বেগ কমায়, মনও ভাল করে। পাশাপাশি কেশরে থাকা বিশেষ যৌগ কাম উদ্দীপক হিসাবেও কাজ করে। তাই নবজীবনের শুভ সূচনার জন্য এই পানীয় সত্যিই বেশ উপকারী।
কেশরে ট্রিপটোফ্যান থাকে, যা মানসিক চাপ কমিয়ে মন শান্ত করতে সাহায্য করে।
কেন এই রীতির সূত্রপাত?
প্রাচীন শাস্ত্র অনুযায়ী এই পানীয়ে চুমুক দিলে সহনশক্তি বাড়ে, যৌন উত্তেজনাও বাড়ে। প্রাচীন রীতি অনুযায়ী দুধে কেবল কেশর নয়, কেশরের পাশাপাশি মৌরির রস, মধু, চিনি, হলুদ, গোলমরিচের মতো মশলাও মেশানো হত। এখন অবশ্য অনেক বাড়িতেই এত কিছু মেশানো হয় না। তবে রীতিটা এখনও বিদ্যমান।