HS Examination 2023

রাত পোহালেই উচ্চ মাধ্যমিক, শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতিতে কী ভাবে সন্তানের পাশে থাকবেন?

সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার আগের দিন সে চিন্তা দূরে সরিয়ে সন্তানের পাশে থাকুন। পরীক্ষা নিয়ে সন্তানের মানসিক উদ্বেগ দূর করবেন কী ভাবে?

Advertisement

নিজস্ব সংবাদদাতা

কলকাতা শেষ আপডেট: ১৩ মার্চ ২০২৩ ১৮:৪৯
Share:

নিজের চিন্তা দূরে সরিয়ে সন্তানের পাশে থাকুন। প্রতীকী ছবি।

মঙ্গলবার, ১৪ মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা। প্রথম দিন বাংলা ভাষার পরীক্ষা। উচ্চ মাধ্যমিক মানে ইতিমধ্যে আরও একটি বড় পরীক্ষা মাধ্যমিক দেওয়ার অভিজ্ঞতা রয়েছে। তবুও পরীক্ষার দিন যত এগিয়ে আসে, বুকের মধ্যে ঢিপঢিপ করা থেকে, জানা জিনিস ভুলে যাওয়া— সাধারণ কয়েকটি সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। আর পরীক্ষার আগের দিন সেই অস্থিরতা দ্বিগুণ হয়। উচ্চ মাধ্যমিক মানে স্কুলের পর্ব শেষ। স্কুলের গণ্ডি পেরিয়ে এ বার কেরিয়ার নিয়ে ভাবনার শুর। উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে পছন্দের বিষয় নিয়ে পড়া সম্ভব কি না, তা অধিকাংশ ক্ষেত্রে উচ্চ মাধ্যমিকের ফলের উপর নির্ভর করে। তাই বাড়তি মানসিক চাপও থাকে পরীক্ষা নিয়ে। শুধু ছাত্রছাত্রী নয়, বাবা-মায়ের উদ্বেগে থাকেন। সন্তানকে নিয়ে চিন্তিত থাকা অস্বাভাবিক নয়। তবে পরীক্ষার আগের দিন সে চিন্তা দূরে সরিয়ে সন্তানের পাশে থাকুন। শেষ মুহূর্তে প্রস্তুতি নিতে কী ভাবে সাহায্য করবেন সন্তানকে?

Advertisement

১) মঙ্গলবার সকাল ১০টা থেকে পরীক্ষা শুরু। পরীক্ষাকেন্দ্রে পৌঁছতে হবে ৯টার মধ্যে। অতএব, হাতে আর কয়েক ঘণ্টা রয়েছে। ফলে আগের মুহূর্তে বেশি মানসিক চাপ নিতে বারণ করুন সন্তানকে। মাতৃভাষার পরীক্ষা। খুব সহজ না হলেও, একেবারে দুর্বোধ্য নয়। প্রশ্নপত্র দেখলেই মনে পড়ে যাবে। তাই আগের দিন রাতে বইয়ের মধ্যে ডুবে যেতে বারণ করুন। তবে খেলার ছলে বইয়ে চোখ বোলাতে পারে।

২) উচ্চ মাধ্যমিকের ফল ভাল না হলে, কী কী হতে পারে, তা পরীক্ষার রাতে সন্তানকে বোঝানোর কোনও দরকার নেই। বরং পরীক্ষা নয়, অন্য কোনও বিষয়ে কথা বলুন। হাসিঠাট্টা করুন। কিংবা পড়ার বিষয়গুলি মজার ছলে সন্তানের সঙ্গে আলোচনা করতে পারেন।

Advertisement

৩) পরীক্ষা ভাল হওয়ার জন্য শুধু দারুণ প্রস্তুতি থাকলেই চলবে না। শরীরও সুস্থ রাখতে হবে। তাই পরীক্ষার রাতে বাইরের কোনও খাবার সন্তানকে দেবেন না। কিংবা বাড়িতেও যদি ভাজাভুজি জাতীয় কোনও খাবার তৈরি হয়, তাও নয়। এ সময়ে এমনিতেই একটা উদ্বেগ কাজ করে। ফলে অস্বাস্থ্যকর কিছু খেলে সঙ্গে সঙ্গেই তা শরীরের উপর প্রভাব ফেলতে পারে। ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।

৪) ১০টায় পরীক্ষা মানে, বাড়ি থেকে তা়ড়াতাড়ি বেরিয়ে পড়তে হবে। তার জন্য বেশ সকালেই উঠতে হবে। তাই আগের দিন রাতে তাড়াতাড়ি যাতে সন্তান ঘুমিয়ে পড়ে, সে বিষয়টি খেয়াল রাখুন। রাত করে খাবার খাওয়ার অভ্যাস থাকলেও, এ দিন তাড়াতাড়ি খেয়ে ঘুমিয়ে পড়া শ্রেয়। তাতে মন এবং মস্তিষ্ক দুই-ই স্থির থাকবে। শরীরও চাঙ্গা হবে।

৫) পেন, পেন্সিল, স্টেপলার, স্কেল, অ্যা়ডমিট কার্ড এবং পরীক্ষা দিতে কাজে লাগবে এমন জিনিসগুলি সন্তানকে বলুন আগের রাতেই গুছিয়ে ফেলতে। সকালে উঠে গোছাতে গেলে দেরি হয়ে যাবে। তা ছাড়া তাড়াহুড়োয় দরকারি জিনিস ফেলে যাওয়ারও আশঙ্কা থাকে। ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement