ভিটামিনের সি-এর গুণে রূপ খুলবে ঠিকই, জানতে হবে ব্যবহারের নিয়ম। ছবি: সংগৃহীত।
কালচে ভাব, বলিরেখা, শুষ্কতা। ত্বকের হাজারো সমস্যার সমাধান লুকিয়ে একটি উপাদানেই। ভিটামিন সি। লেবু, আমলকিতে ভরপুর মাত্রায় থাকে ভিটামিনটি। রোগ প্রতিরোধেও যেমন এর ভূমিকা রয়েছে, তেমনই মুখের লাবণ্য ফেরাতে এটি কম কার্যকর নয়। রূপচর্চায় নিয়মিত এই ভিটামিন ব্যবহার করলে সুফল মিলবে হাতেনাতে। কী কী লাভ হবে এতে, আর কী ভাবেই বা ব্যবহার করবেন?
কালচে ভাব দূর করে
সূর্যের অতিবেগনি রশ্মির প্রভাবে ত্বকে কালচে ছোপ পড়ে যায়। কখনও অতিরিক্ত মেলানিন সঞ্চিত হয়েও মুখের বিভিন্ন অংশ কালো হয়ে ওঠে। ব্রণের জন্যেও দাগ হয় কপালে ও গালে। ভিটামিন সি-এর সঠিক ব্যবহারে এই সমস্ত কালচে দাগ-ছোপ মিলিয়ে যেতে পারে। পাশাপাশি, ভিটামিনের গুণেই শুষ্ক, রুক্ষ ত্বকে জেল্লা ফিরতে পারে।
কোলাজেন উৎপাদনে সহায়তা
ত্বককে টানটান রাখতে সহায়তা করে কোলাজেন নামে একটি প্রোটিন। বয়স বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে ত্বকে কোলাজেনের মাত্রা কমতে থাকায় মুখে বলিরেখা পড়ে যায়, ত্বক শিথিল হয়ে যায়। ভিটামিন সি কোলাজেন উৎপাদনের মাত্রা বৃদ্ধিতে সাহায্য করে ত্বককে সতেজ ও সুন্দর রাখে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন?
ভিটামিন সি ক্যাপসুল পাওয়া যায়। এতে তরল অবস্থায় ভিটামিন থাকে। অ্যালো ভেরার শাঁসের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন সি মিশিয়ে মাখতে পারেন। অ্যালো ভেরা জেলের সঙ্গেও ভিটামিনটি মিশিয়ে মুখে হালকা হাতে মালিশ করলে ত্বক উজ্জ্বল হবে।
ত্বকের চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন, সকালেই এই ভিটামিনটি ব্যবহার করার। মৃদু ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ পরিষ্কার করে নেওয়ার পর ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহারের আগে এটি মাখতে হবে। সানস্ক্রিনের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা ভিটামিন সি মিশিয়ে মেখে নেওয়া যেতে পারে।পাশাপাশি, বাজারচলতি ভিটামিন সি সিরামও ব্যবহার করা যায় ত্বকের জন্য। তবে ভিটামিন সি ক্যাপসুল ব্যবহার করার পর বা সিরাম মাখার পর কোনও রকম প্রদাহ হলে তা বাদ দেওয়াই উচিত।
রূপচর্চার মাধ্যমে যেমন বাইরে থেকে চুল ও ত্বকের যত্ন নেওয়া হয়, ঠিক তেমনই শরীর যদি সুস্থ না থাকে, তার প্রভাব পড়বে মুখ-চোখে। প্রতিদিন একটি করে পাতিলেবুর রস খেলে শরীরে ভিটামিন সি-এর মাত্রা ঠিক থাকবে। এ ছাড়াও পর্যাপ্ত পরিমাণ জল খাওয়া এবং ঘুম সুন্দর ত্বকের চাবিকাঠি।