সানস্ক্রিন মাখার নতুন পদ্ধতিটি কী। ছবি: ফ্রিপিক।
সারা দিনে সানস্ক্রিন কত বার মুখে মাখেন? কেউ বলবেন রাস্তায় বেরোনোর আগে এক বার, আবার কেউ বলবেন ঘামের জন্য উঠে গেলে আবারও লাগিয়ে নিতে হয়। ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, সানস্ক্রিন মাখার একটা বিশেষ পদ্ধতি আছে। সেই উপায়ে মাখলে বার বার সানস্ক্রিন লাগানোর ঝক্কি থাকবে না। এক বার মুখে, হাতে, গলায় মাখলেই সারা দিনের জন্য আপনি নিশ্চিন্ত।
শুধু যে গরমকালে সানস্ক্রিন মাখতে হয় তা তো নয়। রোদ, বৃষ্টি বা ঠান্ডার সময় হোক, রাস্তায় বেরোনোর আগে সানস্ক্রিন মাখতেই হয়। ত্বক চিকিৎসকেরা এমনই পরামর্শ দিয়ে থাকেন। কারণ সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বককে সুরক্ষা দেয় সানস্ক্রিন। তা না হলে অল্প দিনেই মুখে কালচে দাগছোপ পড়তে বাধ্য। ত্বকের পেলবতাও নষ্ট হয়ে যাবে। কিন্তু এক বার সানস্ক্রিন মাখলে কিছু ক্ষণেই ঘামের জন্য তা উঠে যায়। বার বার মুখ মুছলে বা মুখে জল দিলেও তাই হয়। তা হলে উপায় কী?
‘ডবল লেয়ার’ পদ্ধতিতে সানস্ক্রিন মেখে দেখুন। সেটা কী? ত্বক চিকিৎসকেরা জানাচ্ছেন, এক বার নয়, পর পর দু’বার মাখতে হবে সানস্ক্রিন। প্রথম বার ভাল করে মুখে, গলায়, হাতে সানস্ক্রিন মেখে নিন। ১৫ থেকে ২০ মিনিট অপেক্ষা করুন। সানস্ক্রিন ত্বকে বসে গেলে আবারও মাখুন। এই ভাবে ত্বকের উপরে সানস্ক্রিনের দু’টি স্তর তৈরি হবে। এই দুই স্তর দীর্ঘ সময়ের জন্য ত্বককে সুরক্ষা দেবে।
সানস্ক্রিনের ‘ডবল লেয়ার’ পদ্ধতির অনেক সুবিধা আছে। ত্বক চিকিৎসকেদের ব্যাখ্যা, সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি সানস্ক্রিনের দুই স্তর ভেদ করে ত্বকের উপর প্রভাব ফেলতে পারবে না। তাই এই ভাবে যদি সানস্ক্রিন মাখা হয় তা হলে দীর্ঘ সময় রোদে থাকলেও মুখে চট করে দাগছোপ পড়বে না।
আমাদের দেশের আবহাওয়ায় এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিনই ব্যবহার করার পরামর্শ দেওয়া হয়। ত্বকে ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যা না থাকলে এসপিএফ ৩০ সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পারেন। তবে ত্বক খুব স্পর্শকাতর হলে বা ত্বকে কোনও সমস্যা থাকলে সানস্ক্রিন ‘ডবল লেয়ার’ পদ্ধতিতে দু’বার ব্যবহার করবেন কি না, তার জন্য ত্বক চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়াই উচিত।