Sibling Fight

ভাই-বোনে মুখ দেখাদেখি বন্ধ? সম্পর্কে ফাটল ধরছে? অভিমান ভাঙিয়ে দূরত্ব মেটাবেন কী করে?

মতপার্থক্য থাকবেই। মনোমালিন্যও হতে পারে। কিন্তু তা মিটিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করছেন কি? এমন অনেক কৌশল আছে, যা সম্পর্কের বরফ গলিয়ে দিতে পারে নিমেষে।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৫ জুলাই ২০২৪ ১৭:৫৫
Share:

ভাই-বোনে মনোমালিন্য মিটবে কী করে, সহজ কৌশল আছে। ছবি: ফ্রিপিক।

সব সম্পর্ক এক রকম, আর ভাইবোনের সম্পর্ক অন্য রকম। এই সম্পর্কে যেমন ঝগড়া আছে, তেমনই ভালবাসাও অফুরন্ত। এই পায়ে পা দিয়ে ঝগড়া হচ্ছে, একেবারে মুখ দেখাদেখি বন্ধ, পর ক্ষণেই একে অপরের অভিমান ভাঙাতে ছুটে যাওয়া। ছোটবেলার দুষ্টুমি, একে অপরকে জড়িয়ে বড় হয়ে ওঠা, এই সব স্মৃতিই বড় সুখের। ছোটবেলার ঝগড়া এক রকম, কিন্তু বড় হয়েও যদি মনোমালিন্য থেকে যায়, সম্পর্কে ফাটল ধরতে থাকে, তা হলে তা মিটিয়ে নেওয়ার অনেক উপায় আছে। এক বার চেষ্টা করেই দেখুন না!

Advertisement

কথা বলুন মন খুলে

যে কোনও দূরত্বই মেটানো যায়, যদি অভিমান ভুলে একে অপরের সঙ্গে কথা বলা যায়। ভাই বা বোন যদি সে পদক্ষেপ করতে না চান, তা হলে আপনিই এগিয়ে যান। কথা বলুন মন খুলে। আসলে কাছের মানুষের প্রতিই রাগ বা অভিমান একটু বেশিই হয়। কিন্তু দু’জনেই যদি জেদ ধরে বসে থাকেন, তা হলে সমস্যার সমাধান হবে না কোনও দিন। তাই পারস্পরিক কথোপকথন খুব জরুরি।

Advertisement

পুরনো অ্যালবাম খুলে বসুন

শৈশবের স্মৃতি বড় মধুর। মনে করে দেখুন, যখন স্কুলে যেতেন, ছোট ছোট ব্যাপার নিয়ে মারামারি, ঝগড়া করতেন। মা বা বাবার কাছে গিয়ে নালিশ করে আসতেন। সেই সব স্মৃতি মনে করান তাঁকেও। পুরনো অ্যালবাম খুলে দেখান, যেখানে আপনাদের ছোট ছোট সুখের মুহূর্তগুলো ধরা রয়েছে। এ বিষয়ে মনোরোগ বিশেষজ্ঞ শর্মিলা সরকার জানাচ্ছেন, শুধু মাত্র পুরনো স্মৃতি মনে করেই সম্পর্কের অনেক তিক্ততা কেটে যেতে পারে। ছোটবেলার কিছু আনন্দের মুহূর্ত, কয়েকটি পুরনো ছবি সম্পর্কের সব বরফ গলিয়ে দিতে পারে।

উপহার দিয়ে চমকে দিন

ছোট ভাই বা বোন হো্ন অথবা বড় দাদা-দিদি, যদি মনোমালিন্য হয়েই থাকে, তা হলেও তা মিটিয়ে নিতে পারেন সুন্দর কোনও উপহার দিয়ে। তাঁর যা পছন্দ, সেটা কিনে ফেলুন ঝটপট। তার পর এমন ভাবে উপহারটি দিন, যাতে তিনি চমকে যেতে পারেন। নিজে হাতে কিছু বানিয়েও দিতে পারেন। সেটা আরও বেশি ভাল হবে।

একসঙ্গে সময় কাটান

যখন বুঝবেন, সম্পর্কে ফাটল ধরছে, তখন আরও বেশি করে একে অপরকে সময় দেওয়া জরুরি। এই বিষয়ে শর্মিলার মত, একসঙ্গে কিছুটা সময় কাটালে অনেক সমস্যারই সমাধান হতে পারে। হয়তো একসঙ্গে খেতে গেলেন, সেখানে তাঁর পছন্দের খাবারগুলো অর্ডার করুন। খেতে খেতে গল্প করুন, কী ভাবে ছোটবেলায় আপনারা খাবার ভাগ করে খেতেন। সময় থাকলে সিনেমা দেখে আসুন অথবা একসঙ্গে গিয়ে শপিং করুন। তাঁর পছন্দের জামাকাপড় আপনিই বেছে দিন। দেখবেন, দু’জনেরই মন ভাল হয়ে গিয়েছে।

একে অপরের পছন্দকে গুরুত্ব দিন

একসঙ্গে বেড়ে উঠলেও ভাললাগাগুলো আলাদা হতেই পারে। দু’জনের মতামত, ভাবনাচিন্তাও আলাদা হতে পারে। সেটা নিয়ে মনোমালিন্যে না গিয়ে একে অপরের পছন্দকে গুরুত্ব দেওয়া উচিত। দু’জনেই পরস্পরের কথা শুনুন। তাঁর মতামতকেও গুরুত্ব দিন। দেখবেন, সম্পর্কে দূরত্ব আসবেই না।

ভরসার হাত বাড়িয়ে দিন

মান-অভিমান যতই হোক না কেন, ভরসার হাতটুকু আপনিই বাড়িয়ে দিন। তাঁর কেন মনখারাপ বা তিনি কোনও সমস্যায় পড়েছেন কি না, জানার চেষ্টা করুন। তাঁর মনের কথাও শুনুন। সমস্যার সমাধান করার চেষ্টা করুন। ছোটবেলায় যেমন একে অপরের পাশে থাকতেন, আগলে রাখতেন, ঠিক তেমন ভাবেই ভরসা দিয়ে দেখুন না আরও এক বার! হয়তো আপনার হাতটাই ধরতে চাইছেন তিনিও।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement