হেয়ার সিরাম মাখবেন কেন? ছবি: শাটারস্টক।
চুলের পরিচর্যায় তেল, শ্যাম্পু বাদেও যে অন্য আরও প্রসাধনী রয়েছে, সে সম্পর্কে সকলের বিশেষ ধারণা নেই। শ্যাম্পু করার পর ভেজা চুলে যে কন্ডিশনার মাখার চলও খুব পুরনো হয়। সেই পরিবারে এখন তো আবার সিরাম যোগ হয়েছে। ভেজা চুলে কিছু ক্ষণ তোয়ালে জড়িয়ে রেখে সামান্য একটু সিরাম মেখে নিলেই কাজ শেষ। চুলের জটে চিরুনি তো আটকাবেই না। উল্টে ‘ট্র্যাফিকবিহীন হাইওয়ে’-তে গাড়ি চালানোর মতো চিরুনি ছুটবে। কিন্তু সকলের চুলের জন্যই কি সিরাম জরুরি?
কেশসজ্জাশিল্পীরা বলছেন, শুধু তো চুলের জট ছাড়ানো নয়। এ ছাড়াও সিরামের অনেক কাজ রয়েছে। আর্দ্রতা বজায় রাখা, রুক্ষ চুল বশে রাখা, চুলের ডগা ফাটার মতো সমস্যা দূর করতে সাহায্য করে সিরাম। তাপ থেকে চুলে যে ধরনের ক্ষতি হয়, তা-ও রুখে দিতে পারে। আসলে সিরাম তৈরি হয় তরল সিলিকন দিয়ে। সঙ্গে আরও বেশ কিছু রাসায়নিক এবং সুগন্ধিও থাকে। তেল বা ক্রিমের মতো ঘন, চটচটে নয়। সিরাম বরং একটু পিচ্ছিল ধরনের। চুল জটমুক্ত করার জন্য ভেজা চুলে সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন অনেকেই। নিয়মিত ব্যবহার করলে চুল হয়ে ওঠে রেশমের মতো মসৃণ। জট পড়ে না। আঁচড়াতে গিয়ে সহজে ছিঁড়েও যায় না। এমনকি, ভেজা চুলে বাইরে বেরোনোর আগেও সিরাম মেখে নিতে হয়। রোদ, ধোঁয়া, ধুলো, দূষণের হাত থেকেও চুলকে রক্ষা করা যায়। চুলের জেল্লা বজায় রাখতেও সাহায্য করে।
সকলেই কি চুলে সিরাম মাখতে পারেন?
সোজা, ঢেউ খেলানো কিংবা কোঁকড়ানো সব ধরনের চুলেই জট পড়তে পারে। চুল খুলে বাইরে বেরোলে হাওয়ায় উড়ে উস্কোখুস্কো হয়ে যেতে পারে। এই ধরনের সমস্যা এড়াতে সাহায্য করে সিরাম। তাই যে কোনও ধরনের চুলেই সিরাম ব্যবহার করা যায়। তবে চুলের জট ছাড়ানোর সিরাম কিন্তু মাথার ত্বকে মাখা যায় না। তাই শ্যাম্পু, কন্ডিশনার মাখার পর সিরাম মাখার সময়ে সতর্ক থাকতে হবে। চুল যদি অতিরিক্ত তৈলাক্ত হয়, সে ক্ষেত্রে রোজ সিরাম না মাখলেও চলে। বাজারে বিভিন্ন ধরনের সিরাম কিনতে পাওয়া যায়। যে ভাবে চুলের ধরন কিংবা সমস্যা বুঝে তেল, শ্যাম্পু বা কন্ডিশনার কেনেন, সেই ভাবেই সিরাম বেছে নিতে হবে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন হেয়ার সিরাম?
শ্যাম্পু, কন্ডিশনার মাখার পর চুলে কিছু ক্ষণ তোয়ালে জড়িয়ে রাখুন। এ বার হাতে কয়েক ফোঁটা সিরাম নিন। দু’হাতের তালুতে ভাল করে ঘষে নিয়ে চুলে ভাল করে সিরাম মেখে নিন। হালকা ভিজে থাকতে থাকতেই কিন্তু সিরাম মাখতে হবে। মাথার ত্বকে যেন সিরাম না লাগে, সে দিকেও নজর রাখতে হবে।