সানস্ক্রিন না মাখলে ত্বকে ‘সানবার্ন’ হতেই পারে। ছবি: সংগৃহীত।
দিনে দিনে রোদের বেড়েই চলেছে। সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে ত্বকের ক্ষতি এড়াতে চাইলে সানস্ক্রিন না মেখে উপায় নেই। দিনের বেলা ছাদে গেলেও অনাবৃত অংশে সানস্ক্রিন মাখেন অনেকে। আবার, অনেকেই বলেন সানস্ক্রিন মাখলে নাকি মুখ বেশি কালচে দেখায়। আবার, যাঁদের ত্বক অতিরিক্ত তৈলাক্ত তাঁদের মুখে ব্রণের বাড়বাড়ন্ত হতে পারে সানস্ক্রিন মাখলে। তবে ত্বকের চিকিৎসকেরা বলছেন, সানস্ক্রিন না মাখলে তার চেয়ে অনেক বেশি ক্ষতি হতে পারে ত্বকের। এমনকি, ত্বকের ক্যানসার হওয়াও অস্বাভাবিক নয়। ছাতা, টুপি কিংবা ওড়না দিয়ে মাথা ঢাকলেও সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি থেকে বাঁচা যায় না। সানস্ক্রিন না মাখলে ত্বকের কী কী ক্ষতি হতে পারে জানেন?
১) সানবার্ন:
সানস্ক্রিন না মেখে দীর্ঘ ক্ষণ রোদে থাকলে সানবার্ন অনিবার্য। সূর্যের ইউভি-বি ত্বকের উপরের স্তর (এপিডার্মিস) শোষণ করে নেয়। ত্বক লাল হয়ে প্রদাহজনিত সমস্যা দেখা দেয়। যে অংশে রোদ লাগে সেখানকার কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। দিনের পর দিন একই ভাবে রোদ লাগলে ত্বকের ক্যানসার হওয়াও অস্বাভাবিক নয়।
২) সানস্ক্রিন ব্যবহার না করলে অল্প বয়সে ত্বক বুড়িয়ে যেতে পারে। মুখে বলিরেখা, কালচে দাগ-ছোপ, জৌলসহীন ত্বক— এ সবই অতিবেগনি রশ্মির দান। শুধু কি তাই? এই অতিবেগনি রশ্মি ত্বকের গভীর (ডার্মিস) স্তরে গিয়ে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন, অর্থাৎ কোলাজেন এবং ইলাস্টিন ফাইবারের ক্ষতি করে। ফলে ত্বকের টান টান ভাবও নষ্ট হয়।
৩) সানস্ক্রিন না মেখে দীর্ঘ ক্ষণ রোদে ঘোরাঘুরি করলে ত্বকে মেলানিন উৎপাদন বৃদ্ধি পায়। যে কারণে ত্বকের উপর হাইপার পিগমেন্টেশনের সমস্যা দেখা দিতে পারে। মুখে মেচেতার দাগ, ফ্রেকল্স কিংবা মেলাজ়মাও দেখা দিতে পারে।