মুখে খেজুর বাটা মাখবেন কেন? ছবি: সংগৃহীত।
ত্বকের যত্নে এক্সফোলিয়েশন জরুরি। তবে ত্বক স্পর্শকাতর হলে বাজারচলতি স্ক্রাব বা এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করা যায় না। সে ক্ষেত্রে ঘরোয়া কিছু প্রাকৃতিক উপাদান দিয়ে তা তৈরি করে নেন অনেকে। এক্সফোলিয়েট করার পর অনেকের ত্বকই অতিরিক্ত শুষ্ক হয়ে পড়ে। ত্বকের নিজস্ব তেল বা সেবাম ক্ষরণের মাত্রা কমে যায়। তাই এক্সফোলিয়েট করার পর ময়েশ্চারাইজ়ার মাখার ব্যাপারে আলাদা করে জোর দেন রূপচর্চা শিল্পীরা। তবে ঘরোয়া এক্সফোলিয়েটর হিসাবে যদি খেজুর বাটা মাখা যায়, তা হলে এই ধরনের সমস্যা হবে না।
মুখে খেজুর বাটা মাখলে কী হবে?
· খেজুরে নানা ধরনের ভিটামিন রয়েছে। এগুলি ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখতে সাহায্য করে।
· নিয়ম করে ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুলেও ত্বকের উপর জমে থাকা মৃত কোষ দূর করা যায় না। খেজুর কিন্তু সেই কাজটি একা হাতেই সামাল দিতে পারে।
· বাজারচলতি এক্সফোলিয়েটর ব্যবহার করার পর মৃত কোষের সঙ্গে মুখের তৈলাক্ত ভাব হারিয়ে যেতে পারে। কিন্তু খেজুরের ক্ষেত্রে তেমনটা হয় না। মুখে পিএইচের সমতাও বজায় রাখে ফলটি।
· ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখতে সাহায্য করে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট। খেজুরে এই উপাদানটি রয়েছে যথেষ্ট পরিমাণে, যা অক্সিডেটিভ স্ট্রেস নিয়ন্ত্রণে রাখে। ফলে সহজে ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়ে না।
ঘরোয়া এই স্ক্রাব তৈরি করতে কী কী লাগবে?
৫টি খেজুর
আধ চা চামচ মধু
সামান্য একটু ওট্স
আধ টেবিল চামচ টক দই
পদ্ধতি:
সব উপকরণ একসঙ্গে ব্লেন্ডারে দিয়ে দিন। ভাল করে বেটে মুখে মেখে রাখুন। ত্বকে আগে থেকে র্যাশ, ব্রণ না থাকলে আঙুল দিয়ে গোল গোল করে মাসাজ করুন। মিনিট পনেরো পরে ঈষদুষ্ণ জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন। তার পর অবশ্যই ত্বকের ধরন বুঝে, ভাল মানের কোনও ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে নেবেন।