ট্যান তোলার জন্য কী কী প্যাক ব্যবহার করবেন? ছবি: ফ্রিপিক।
পুজোয় রোদে ঘুরে হাতে, গালে কালচে ছোপ পড়েছে? সারা সকাল ধরে প্যান্ডেলে প্যান্ডেলে ঘুরতে ঘুরতে দুই হাতের কনুই অবধি মনে হয় কেউ পুড়িয়ে দিয়েছে। একেই বাইরে ভ্যাপসা গরম, তার উপরে চড়া রোদ। ত্বকের ধরন যেমনই হোক, রোদে বেরোলেই ট্যান পড়ে যাওয়ার সমস্যা হবেই। এই ট্যান পরিষ্কার করতে অনেকেই ফেশিয়াল কিট, নানা ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করেন। তবে ত্বকের ধরন অনুযায়ী ঘরোয়া প্যাক ব্যবহার করলেই বেশি উপকার পাবেন।
ট্যান তোলার জন্য কী কী প্যাক ব্যবহার করবেন?
হলুদ-দুধের প্যাক
একটি পাত্রে ২ চা চামচ হলুদের সঙ্গে ২ চামচ দুধ মিশিয়ে মিশ্রণ তৈরি করুন। এই মিশ্রণ দুই হাতে ভাল করে মেখে ১৫ মিনিট অপেক্ষা করুন। তার পর পরিষ্কার জলে হাত ধুয়ে ময়েশ্চারাইজ়ার লাগিয়ে নিন। হলুদের অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট, অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল উপাদান ত্বকের দাগছোপ দূর করবে। র্যাশ বা ফুস্কুড়ির সমস্যা থাকলে তা-ও দূর হবে।
লেবুর রস-চিনির স্ক্রাব
লেবুতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি ও অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট আছে। তা ছাড়া অ্যান্টিইনফ্ল্যামেটরি উপাদান আছে, যা ত্বকের র্যাশ, জ্বালাভাব দূর করতে পারে। ট্যান তোলার জন্য এক চামচ পাতিলেবুর রসের সঙ্গে এক চামচ চিনি মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ভাল করে দুই হাতে মেখে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন।
শশা-দইয়ের প্যাক
শশা অর্ধেকটা কেটে কুচিয়ে নিন। এ বার মিক্সারে ভাল করে পিষে তার সঙ্গে এক চা- চামচ দই মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ভাল করে দু’হাতে লাগিয়ে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন। শশা ও দইয়ের মিশ্রণ খুব তাড়াতাড়ি ত্বকের কালচে দাগছোপ তুলে দেবে।
ওট্মিল-মধু-দইয়ের প্যাক
ওট্মিল খুব ভাল প্রাকৃতিক স্ক্রাবার। ত্বকের মৃত কোষ তুলে দিতে পারে। ২ চা চামচ ওট্মিলের সঙ্গে এক চামচ দই ও এক চামচ মধু মিশিয়ে সেই মিশ্রণ হাতে ভাল করে মালিশ করে নিন। ১০ মিনিট অপেক্ষা করে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে অন্তত দু’বার এই প্যাক ব্যবহার করলে ট্যান দ্রুত উঠে যাবে।
চন্দন-গোলাপজল
২ চা চামচ গুঁড়ো চন্দনের সঙ্গে এক চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে সেই মিশ্রণ ধীরে ধীরে দুই হাতে মালিশ করুন। ১৫ মিনিট রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। চন্দন ও গোলাপ জল ত্বক আর্দ্র রাখবে, ঠান্ডা অনুভূতি দেবে। ত্বকে ঘামাচি বা র্যাশের সমস্যা থাকলে তা কমে যাবে।