বাতানুকূল যন্ত্রের ঠান্ডা বাতাসে শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকেও সমস্যা বেড়ে যায়। ছবি: সংগৃহীত
সকালে ঘুম থেকে উঠতে দেরি হয়ে গিয়েছে। বাস বা মেট্রো করে গেলে অফিসে পৌঁছতে অনেকটা দেরি হয়ে যাবে। অগত্যা, এসি ক্যাবে করে অফিস যাওয়া ছাড়া উপায় নেই। আবার অফিসে গিয়েও দীর্ঘক্ষণ থাকতে হচ্ছে এসিতে। গরমের সময়ে এসিতে থাকাটা আরামদায়ক হলেও ত্বকের উপর এর প্রভাব কিন্তু মনোরম হয় না। দিনের বেশিরভাগ সময়ে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে থাকলে ত্বকের আর্দ্রতায় টান পড়ে। বাতানুকূল যন্ত্রের ঠান্ডা বাতাসে শুষ্ক ত্বকের পাশাপাশি স্বাভাবিক ও তৈলাক্ত ত্বকেও সমস্যা বেড়ে যায়। দীর্ঘক্ষণ এমন কৃত্রিম ঠান্ডা পরিবেশে থাকার ফলে ত্বক লাল হয়ে যাওয়া, ঠোঁট শুকিয়ে যাওয়া, ত্বকে ভাঁজ পড়ার মতো সমস্যা দেখা দেয়। তাই এমন পরিবেশে থাকলে কিছু বাড়তি সুরক্ষা নেওয়া প্রয়োজন।
১) শীতাতপনিয়ন্ত্রিত পরিবেশে ঢোকার আগে ত্বকে ময়েশ্চারাইজার মেখে নিন এবং সঙ্গে রেখেও দিন। ময়েশ্চারাইজার হিসাবে অলিভ অয়েল ব্যবহার করতে পারেন। এ ছাড়াও ভারী কোনও লোশন বা ক্রিমও মাখতে পারেন।
২) এসি-তে থাকলে ত্বকের যত্ন নিতে প্রচুর পরিমাণে জল খাওয়া প্রয়োজন। দিনে অন্তত ২-৩ লিটার জল খাওয়া আবশ্যিক।
৩) একটানা দীর্ঘক্ষণ বাতানুকূল যন্ত্রের বাতাসে না থেকে মাঝেমাঝেই বাইরের স্বাভাবিক তাপমাত্রা থেকে ঘুরে আসুন।
৪) ময়েশ্চারাইজারের পাশাপাশি ব্যবহার করতে পারেন গ্লিসারিনও। ত্বকের শুষ্কতা দূর করতে গ্লিসারিন দারুণ কার্যকর।
৫) শুধু ত্বক, শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত যন্ত্রের ঠান্ডা বাতাস ঠোঁট রুক্ষ করে তোলে। তাই ঠোঁটের কোমলতা ও মসৃণতা বজায় রাখতে ব্যবহার করতে পারেন পেট্রোলিয়ামজাত জেলি। চাইলে লিপগ্লসও লাগিয়ে রাখতে পারেন।
৬) ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের যত্ন নিতে দুধের সরের সঙ্গে গোলাপের পাঁপড়ি বাটা মিশিয়ে ঠোঁটে ব্যবহার করুন। এতে ঠোঁটের কালো দাগ কমে যায়। ঠোঁট হয়ে ওঠে কোমল ও মসৃণ।