ছবি: প্রতীকী
পরিচ্ছন্নতা বজায় রাখতে নিয়মিত বাহুমূলের রোম তোলেন অনেকেই। রোম তুলতে কারও পছন্দ ওয়াক্সিং। আবার সালোঁয় গিয়ে রোম তোলা সম্ভব না হলে অনেকেই রেজ়ার দিয়ে রোম কামিয়ে ফেলেন। তবে স্পর্শকাতর ত্বকে যে পদ্ধতিতেই রোম তোলা হোক না কেন, র্যাশ-ফুসকুড়ির সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। ঘন ঘন রোম তোলার ক্ষেত্রে অনেকেরই ত্বকে আবার ‘ইনগ্রোথ’এর সমস্যাও দেখা যায়। কিছু নিয়ম মেনে চললেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
১) এক্সফোলিয়েট
রোম তোলার পরের দিনই এক্সফোলিয়েট করতে যাবেন না। অন্তত পক্ষে ৩-৪ দিন পর থেকে নিয়মিত ত্বকে এক্সফোলিয়েট করা উচিত। তবে বাহুমূলের জন্য মাইল্ড কোনও স্ক্রাব ব্যবহার করাই ভাল। এই অভ্যাসের ফলে ত্বকে র্যাশ, ফুসকুড়ির সমস্যা যেমন দূর হয়। তেমন এটি ত্বকের ভিতর রোমের ‘ইনগ্রোথ’ এর সমস্যাও দূর করে।
২) গরম জলের ভাপ
ফুসকুড়ি যদি বড় হয়ে অনেকটা ফোঁড়ার মতো আকার ধারণ করে, তখন ব্যথা হওয়া স্বাভাবিক। কারও কারও ত্বকে সংক্রমণও হতে পারে। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে গরম জলে পরিষ্কার কাপড় ভিজিয়ে শুকনো করে নিংড়ে নিয়ে আক্রান্ত স্থানে ভাল করে মুছে নিন। চাইলে গরম জলের মধ্যে কয়েক ফোঁটা অ্যান্টিসেপটিক লোশন মেশাতে পারেন।
৩) শেভিং বা ওয়াক্সিং করা যাবে না
ত্বকের স্পর্শকাতর অংশগুলিতে ‘ওয়াক্সিং’ বা ‘শেভিং’ না করাই ভাল। নিয়মিত শেভিং বা ওয়াক্সিং করলে ত্বকে এই ধরনের সমস্যা হওয়া স্বাভাবিক। ত্বকে ফুসকুড়ি হয়েছে, এমন অবস্থাতেও রোম তোলা বেশ ঝুঁকির।