—প্রতীকী ছবি।
আর্থিক মন্দায় ডুবে নিউ জ়িল্যান্ড। ২০২৪-’২৫ অর্থবর্ষের তৃতীয় ত্রৈমাসিকে এক ছটাকও বদলাল না পরিস্থিতি। উল্টে অর্থনৈতিক অবস্থা আরও খারাপের দিকে যাচ্ছে বলে মনে করছেন বিশ্লেষকদের একাংশ। আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক ‘ফেডারেল রিজ়ার্ভ’ সুদের হার কমানোয় তার প্রভাব কিউয়ি অর্থনীতিতে পড়েছে বলে মনে করা হচ্ছে।
মন্দা সামলাতে সম্প্রতি নিউ জ়িল্যান্ডের কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক সুদের হার কমিয়ে দেয়। তার পরেও পরিস্থিতির তেমন উন্নতি হয়নি। গত দু’বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গিয়েছে কিউয়ি ডলার। দেশটিতে আমেরিকান ডলারের নিরিখে মুদ্রার দাম কমে দাঁড়িয়েছে ০.৫৬১৪। অর্থাৎ আমেরিকার ডলারের নিরিখে কিউয়ি ডলারের পতন হয়েছে ২.২ শতাংশ।
বৃহস্পতিবার, ১৯ ডিসেম্বর ফের এক বার সুদের হার কমানোর কথা ঘোষণা করে যুক্তরাষ্ট্রের ‘ফেডারেল রিজ়ার্ভ’। সুদের হার ২৫ বেসিস পয়েন্ট কমিয়েছে আমেরিকার কেন্দ্রীয় ব্যাঙ্ক। নভেম্বরে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর এই নিয়ে দু’বার সুদের হার হ্রাস করল ওয়াশিংটন। ফলে আন্তর্জাতিক বাজারে আরও শক্তিশালী হয়েছে ডলার। নিউ জ়িল্যান্ডের আর্থিক মন্দার নেপথ্যে এটি অন্যতম প্রধান কারণ বলে মনে করছেন আর্থিক বিশ্লেষকেরা।
চলতি বছরের জুন ত্রৈমাসিকে কিউয়ি দেশের আর্থিক বৃদ্ধির সূচকে ১.১ শতাংশ পতন দেখা গিয়েছিল। সেপ্টেম্বর ত্রৈমাসিকে দেশটির বাজার সঙ্কুচিত হয় ০.২ শতাংশ। এ ছাড়া দেশীয় পণ্য উৎপাদনের পরিমাণ কমেছে এক শতাংশ। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে নিউ জ়িল্যান্ডের রিজ়ার্ভ ব্যাঙ্ক ইতিমধ্যেই ১২৫ বেসিস পয়েন্ট সুদের হার হ্রাস করেছে। আগামী বছরের (পড়ুন ২০২৫) ফেব্রুয়ারিতে সুদের হার আরও ৫০ বেসিস পয়েন্ট কমবে বলেও পূর্বাভাস মিলেছে।
নিউ জ়িল্যান্ডের সরকারি তথ্য বলছে, ১৯৯১ সালের পর আর কখনও এত বড় মন্দার মুখে পড়েনি দেশ। ২০২০ সালে কোভিড অতিমারির সময়ে মন্দার মতো পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল। ক্যাপিটাল ইকোনমিক্সের অর্থনীতিবিদ অভিজিৎ সূর্য বলেছেন, ‘‘কিউয়িরা যে মন্দার কবলে পড়তে চলেছেন, তার আভাস ছিল। তবে বর্তমান পরিস্থিতি প্রত্যাশার চেয়ে খারাপ।’’ যদিও নিউজ়িল্যান্ডের মন্দার প্রভাব সেভাবে ভারতীয় অর্থনীতিতে পড়বে না বলেই মনে করা হচ্ছে।