Retinol for Wrinkle

মুখে বলিরেখা পড়তে শুরু করলে তবেই কি রেটিনলযুক্ত ক্রিম মাখা উচিত?

ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে আসার পাশাপাশি মুখের চামড়া কুঁচকে যাওয়া, বলিরেখার মতো সমস্যা দূর করতে ‘রেটিনল’ যুক্ত ক্রিম, ইমালশন বা সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরা।

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক

কলকাতা শেষ আপডেট: ০৮ জুলাই ২০২৩ ২০:২০
Share:

ছবি: প্রতীকী

একটা বয়সের পর ত্বকে বার্ধক্যের ছাপ পড়া স্বাভাবিক। কিন্তু তা মন থেকে মেনে নেওয়া বেশ কষ্টকর। জেল্লা হারানো ত্বকের যত্নে ইদানীং ‘রেটিনল’ নামক একটি অ্যাসিডের প্রয়োগ দেখা যায় বেশি। যা আসলে এক প্রকার রাসায়নিক। তবে ত্বকের জন্য তা খুব একটা ক্ষতিকর নয় বলেই জানান চিকিৎসকেরা। ত্বকের হারানো জেল্লা ফিরে আসার পাশাপাশি মুখের চামড়া কুঁচকে যাওয়া, বলিরেখার মতো সমস্যা দূর করতে ‘রেটিনল’ যুক্ত ক্রিম, ইমালশন বা সিরাম ব্যবহার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসকেরাই। তবে এই অ্যাসিডের মাত্রা একটু বেশি হয়ে গেলেই ত্বকের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তাই এ নিয়ে নানা মুনির নানা মত। অনেকেই বলেন, কমবয়সে এই অ্যাসিড মুখে মাখা যায় না। আবার অনেকের ধারণা, অন্তঃসত্ত্বা অবস্থায় এই অ্যাসিডযুক্ত ক্রিম মাখলে গর্ভস্থ ভ্রূণের ক্ষতি হয়ে যেতে পারে। তবে যে কোনও রাসায়নিক ব্যবহারেরই তো ভাল-মন্দ রয়েছে। তা ছাড়া কার ত্বকে কতটা পরিমাণ রেটিনল প্রয়োজন বা আদৌ প্রয়োজন কি না, তা না জেনে বা অভিজ্ঞ কারও পরামর্শ না নিয়ে এই প্রসাধনী ব্যবহার করা উচিত নয়।

Advertisement

রেটিনল কি?

Advertisement

তবে অনেকের মনেই এই ‘রেটিনল’ নামক অ্যাসিডটি নিয়ে মনে বেশ ভয় কাজ করে। এই অ্যাসিডের মূল উপাদান হল ভিটামিন এ। যা ত্বকের বলিরেখা দূর করতে, ত্বক মসৃণ করতে, দাগ-ছোপ দূর করতে সাহায্য করে। তবে বয়স এবং ত্বকের ধরন অনুযায়ী রেটিনলের মাত্রা কেমন হবে, তা নির্ধারণ করতে পারেন বিশেষজ্ঞরাই। তাই তাঁদের পরামর্শ ছাড়া কখনওই এই ধরনের রাসায়নিক ব্যবহার করা উচিত নয়। কিন্তু রেটিনলের ব্যবহার নিয়ে ভুল ধারণা মনে পুষে রাখাও ঠিক নয়।

কোন বয়স থেকে মাখতে শুরু করবেন রেটিনল?

মুখে বয়সের ছাপ প্রতিরোধ করতে অনেকেই ৩০-এর পর থেকে রেটিনল মাখতে শুরু করেন। কিন্তু চিকিৎসকেরা বলছেন, যাঁদের অকালে বয়সের ছাপ পড়ার প্রবণতা রয়েছে, তাঁদের ক্ষেত্রে রেটিনলযুক্ত প্রসাধনী ব্যবহার শুরু করার বয়সটা ২৫ হলেই ভাল।

ছবি: প্রতীকী

ব্যবহারের আগে কী কী জেনে রাখা ভাল?

স্পর্শকাতর ত্বকের ক্ষেত্রে রেটিনল একেবারেই নিষিদ্ধ। ত্বক জ্বালা করা, অস্বস্তি হওয়া, র‌্যাশ বেরোনোর মতো সমস্যা হতেই পারে। তবে একান্তই যদি এই জাতীয় প্রসাধনী মাখতে হয়, সে ক্ষেত্রে পরিমাণের উপর বিশেষ নজর দিতে হবে। সপ্তাহে এক দিনের বেশি এই অ্যাসিড ব্যবহার করার প্রয়োজন নেই বলেই মনে করেন চিকিৎসকেরা। তবে এই অ্যাসিড সরাসরি ত্বকে ব্যবহার করা যায় না। তাই ক্রিম, ইমালশন বা সিরামে কত শতাংশ রেটিনল রয়েছে, তা দেখে ব্যবহার করা যেতে পারে।

রেটিনলযুক্ত প্রসাধনী কখন মাখবেন?

এই ধরনের প্রসাধনী রাতে ব্যবহার করাই ভাল। যে কোনও ধরনের অ্যাসিড, রোদের সংস্পর্শে এলে তা ত্বকের ক্ষতি করতে পারে।

রেটিনলযুক্ত ক্রিম কি শুধু মুখেই মাখবেন?

মুখে বয়সের ছাপ স্পষ্ট হলেও গলা বা হাতের চামড়াও কিন্তু কুঁচকে যেতে পারে। খুব একটা চোখে পড়ে না বলে অনেকেই বিষয়টি খুব একটা গুরুত্ব দেন না। তবে চিকিৎসকেরা বলছেন, মুখের পাশাপাশি হাত, গলা এবং ঘাড়েও কিন্তু এই রেটিনল দেওয়া প্রসাধনী মাখতে হবে।

আনন্দবাজার অনলাইন এখন

হোয়াট্‌সঅ্যাপেও

ফলো করুন
অন্য মাধ্যমগুলি:
আরও পড়ুন
Advertisement