মহিলাদের চেয়ে পুরুষের ত্বক কম স্পর্শকাতর। ছবি: সংগৃহীত।
গরমে ত্বকের যত্নে মহিলারা যতটা সচেতন, পুরুষরা ততটাও নন। কিন্তু সমীক্ষা জানাচ্ছে, দেশের প্রায় ১৫ শতাংশ পুরুষ গ্রীষ্মকালীন ব্রণর সমস্যায় ভোগেন। মূলত সারা বছর ত্বকের যত্নে অবেহেলার কারণেই এমন হয়। মহিলাদের চেয়ে পুরুষের ত্বক কম স্পর্শকাতর। তুলনায় রুক্ষ বেশি। গ্রীষ্মে এই রুক্ষতার পরিমাণ আরও বেড়ে যায়। শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকেই ব্রণর বাড়বাড়ন্ত বেশি। গ্রীষ্মে কী ধরনের ত্বকের রুটিন মেনে চললে ব্রণর ঝামেলা থেকে দূরে থাকবেন পুরুষরা?
ক্লিনজিং
বাইরে থেকে ফিরে তো বটেই, এমনকি বাড়িতে থাকলেও ত্বক পরিষ্কার করা জরুরি। বিশেষ করে সকালবেলা ত্বক পরিষ্কার করা সবচেয়ে বেশি দরকার। কারণ এই সময়ে ত্বক থেকে সবচেয়ে বেশি সিবাম বেরোয়। ত্বকের তৈলাক্ত ভাব এড়াতে দিনে দু’বার ক্লিনজার ব্যবহার করলে ভাল।
এক্সফোলিয়েশন
ত্বক ভিতর থেকে সতেজ এবং সজীব রাখতে ‘এক্সফোলিয়েশন’ খুবই জরুরি। এতে ত্বকের মৃত চামড়া দূর হয়। বাজারচলতি বেশ কিছু প্রসাধনী আছে এর জন্য। তবে ঘরোয়া উপায়ে ত্বকের মৃত কোষ দূর করা যেতে পারে। চিনি এবং মধু একসঙ্গে মিশিয়ে একটি প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করা যেতে পারে।
শুষ্ক এবং রুক্ষ ত্বকেই ব্রণর বাড়বাড়ন্ত বেশি। ছবি: সংগৃহীত।
ময়েশ্চারাইজ়ার
ত্বকের যত্নের একটি অন্যতম ধাপ হল ময়েশ্চারাইজ়ারের ব্যবহার। সকলেরই ময়েশ্চারাইজ়ার ব্যবহার করা জরুরি। তবে ময়েশ্চারাইজ়ার মেখে রোদে না বেরিয়ে বরং রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে মাখতে পারেন। উপকার পাবেন। ত্বকের ধরন অনুযায়ী যদি ময়েশ্চারাইজ়ার বাছতে পারেন, তার চেয়ে ভাল আর কিছু হতে পারে না।
সানস্ক্রিন
গ্রীষ্মে ত্বকের খেয়াল রাখার অন্যতম হাতিয়ার সানস্ক্রিন। পুরুষ এবং নারী নির্বিশেষে সানস্ক্রিন মাখা জরুরি। ব্রণর হাত থেকে মুক্তি পেতে পুরুষদের আরও বেশি করে ব্যবহার করা জরুরি এই প্রসাধনী। বাড়ি থেকে বেরোনোর অন্তত ৩০ মিনিট আগে মাখতে হবে। ট্যান থেকে র্যাশ, চুলকানি— বেশ কয়েকটি সমস্যা প্রতিরোধ করতে সানস্ক্রিনের ব্যবহার বাধ্যতামূলক।