৩ যোগেই কমবে ত্বকের বয়স! ছবি- সংগৃহীত
যৌবনের টানটান মসৃণ ত্বকের জেল্লা হারাতে থাকে ৪০ পেরোলেই। তার পর থেকেই ধীরে ধীরে বলিরেখা দেখা দিতে থাকে। ত্বক ঝুলে যায়। খসখসে হয়ে পড়ে। নিত্য ব্যস্ততার রুটিনে শরীরচর্চার জন্য সময় বার করা হয়ে ওঠে না। ত্বকের যত্ন নিয়ে ভাবতে গেলে মনে হয় বিলাসিতা। কিন্তু শরীরের দেখভাল করার পাশাপাশি ত্বকের পরিচর্যাও ভীষণ দরকার। অনেকেই খেয়াল করে ঘন ঘন জল খেয়ে ত্বক আর্দ্র রাখেন। কেউ আবার বেরোনোর সময়ে সানস্ক্রিন মেখে ত্বক রক্ষা করেন বাইরের ধুলোবালি বা অতিবেগুনি রশ্মি থেকে। তবে ত্বকের যত্ন নেওয়ার ক্ষেত্রে কিছু যোগাসনও উপকারী হতে পারে। জেনে নিন কোন যোগাসনে ত্বকের জেল্লা বাড়বে।
ছবি- সংগৃহীত
১) হলাসন: এই আসনটি রক্ত সঞ্চালনের হার বাড়ায়। এই আসন নিয়মিত করলে অনিদ্রার সমস্যা দূর হয়। ভাল ঘুম হলে ত্বকে ক্লান্তির ছাপ পড়ে না। ত্বক ভাল থাকে।
যোগাসনটি করার জন্য প্রথমে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন। এ বার কোমরে ভর দিয়ে পা দু’টি আস্তে আস্তে উপরে তুলুন ৯০ ডিগ্রি কোণে। হাতের তালুতে চাপ দিয়ে পা দু’টিকে মাথার উপর দিয়ে পিছনের দিকে নিয়ে যান। এর পর পিঠটা ধীরে ধীরে মাটি থেকে এমন ভাবে তুলুন, যাতে পায়ের আঙুলগুলি মাটি স্পর্শ করে। বুকের কাছে নিয়ে আসুন থুতনি।
২) সর্বাঙ্গাসন: এই আসনটি করা খুব সহজ নয়। তবে এক বার অভ্যস্ত হয়ে পড়লে এই আসন শরীরের পাশাপাশি ত্বকও ভাল রাখতে সাহায়্য করে। এই আসন মুখে রক্ত চলাচল বাড়ায়। তাই চামড়া কুচকে যাওয়া, ব্রণর সমস্যা ঠেকিয়ে রাখতে এই আসনের উপর ভরসা করতে পারেন।
হলাসনের মতো প্রথমে শুয়ে পড়ে তার পর পিঠের উপর ভর দিয়ে পেলভিস ও পা দু’টি সোজাসুজি তুলে দিন। এ বার কনুই থেকে হাত ভাঁজ করে পিঠটা ছেড়ে দিন তালুর উপর। খেয়াল করবেন যেন কাঁধ, টরসো, পেলভিস, পা এবং পায়ের পাতা একই সরলরেখায় থাকে। চেষ্টা করুন যেন আপনার থুতনি স্পর্শ করে বুক এবং দৃষ্টি স্থির থাকে পায়ের পাতার দিকে।
৩) ধনুরাসন: এই আসনটি নিয়মিত করতে পারলে মানসিক চাপ মুক্ত হওয়া যায়। উদ্বেগ কমে। পেটের উপর চাপ পরায় এই যোগ ব্যায়ামটি করলে হজমশক্তিও বাড়ে। পেট পরিষ্কার থাকলে ত্বকও ভাল থাকে।
উপুড় হয়ে শুয়ে পড়ুন। তার পর হাঁটু ভাঁজ করে পায়ের পাতা যতটা সম্ভব পিঠের উপর নিয়ে আসুন। এ বার হাত দু’টি পিছনে নিয়ে গিয়ে গোড়ালির উপর শক্ত করে চেপে ধরুন। চেষ্টা করুন পা দু’টি মাথার কাছাকাছি নিয়ে আসতে। এই ভঙ্গিতে মেঝে থেকে বুক পর্যন্ত হাঁটু ও উরু উঠে আসবে। পেট মেঝেতে রেখে উপরের দিকে তাকান। এই ভঙ্গিতে স্বাভাবিক শ্বাস-প্রশ্বাস নিয়ে ২০ থেকে ৩০ সেকেন্ড থাকুন। তার পর পূর্বের ভঙ্গিতে ফিরে যান। এই আসন বার তিনেক করতে পারেন।