আপনি কি ত্বকে সর্ষের তেল মাখেন? এই তেল কি ত্বকের জন্য স্বাস্থ্যকর?
ইলিশ ভাপা তৈরির সময়ে সর্ষের তেল পড়বে না, তা আবার হয় নাকি? বাঙালির সান্ধ্যকালীন মুড়িমাখায় কয়েক ফোঁটা সর্ষের তেলের ঝাঁঝ না হলে আড্ডার আসর জমবে কী ভাবে? কাঁচালঙ্কা দিয়ে পোস্ত বাটার সময়ে খাঁটি সর্ষের তেল পেলে আর কী চাই! কিন্তু এ তো সবই খাওয়া-দাওয়ার কথা। এই তেল কিন্তু ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্যও দারুণ উপকারী।
অনেক চিকিৎসক মনে করেন, ত্বকের যত্নেও অন্য তেলের চেয়ে সর্ষের তেলে আস্থা রাখাই বুদ্ধিমানের কাজ। তবে সেই সর্ষের তেলকে খাঁটি হতে হবে। ত্বকের পরিচর্যায় কী ভাবে ব্যবহার করবেন এই তেল?
১) বর্ষা এলেই চুলকানি, ঘায়ের সমস্যা বাড়ে। সর্ষের তেল অ্যান্টি-ব্যাক্টেরিয়াল ও অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানে ভরপুর। তাই অ্যালার্জি ও র্যাশের হানা প্রতিরোধে সাহায্য করে।
২) সর্ষের তেলে রয়েছে ভিটামিন এ, ই এবং বি কমপ্লেক্স। ফলে এটি বলিরেখা কমাতে সাহায্য করে।
প্রতীকী ছবি
৩) অনেকেরই সারা বছর ফাটা ঠোঁটের সমস্যা থাকে। রাতে শোয়ার আগে ঠোঁটে দু’-তিন ফোঁটা সর্ষের তেল বুলিয়ে ঘুমোন। পাবেন এই সমস্যা থেকে রেহাই।
৪) রোজ রোদে বেরোলে ত্বকে পোড়া দাগ থাকে। ত্বকের দাগছোপ তোলার জন্য বেসন, দই, লেবুর রসের সঙ্গে সর্ষের তেল মিশিয়ে মুখ-ঘাড়ে ১০-১৫ মিনিট লাগিয়ে রেখে ঠান্ডা জলে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে তিন দিন তেল দিয়ে তৈরি এই মাস্ক ব্যবহার করলে এক মাসের মধ্যেই ফল পাওয়া যাবে।
৫) রোদে পুড়ে ত্বকে দাগ পড়েছে? সমপরিমাণে সর্ষের তেল ও নারকেল তেল মিশিয়ে প্রতি রাতে মিনিট পনেরো মুখে মালিশ করতে হবে। তার পর ফেসওয়াশ দিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। কয়েক দিন এই পন্থা মেনে চললে লক্ষ করবেন ত্বকের পুরনো জেল্লা ফিরে এসেছে।