ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে গেলে ঘরের মধ্যেও সানস্ক্রিন মাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। ছবি- সংগৃহীত
এপ্রিলের দ্বিতীয় সপ্তাহেই পশ্চিমবঙ্গে তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছাড়িয়েছে। দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপপ্রবাহের পূর্বাভাসও দেওয়া হয়েছে আবহাওয়া দফতর থেকে। চিকিৎসকেরা পরামর্শ দিচ্ছেন প্রয়োজন ছাড়া বাইরে না বেরোতে, পর্যাপ্ত পরিমাণে জল খেতে। যদি একান্ত যেতেই হয়, তখন রোদের প্রকোপ থেকে ত্বকের ক্ষতি এড়াতে ভাল করে সানস্ক্রিন মাখতে, ছাতা ব্যবহার করতে বলছেন ত্বক বিশেষজ্ঞরাও। কিন্তু বাড়িতে থাকলে কি সানস্ক্রিন মাখার কথা মাথায় থাকে? বেশির ভাগ মানুষই ঘরের মধ্যে থাকলে সানস্ক্রিন মাখার কথা বেমালুম ভুলে যান। ঘরে এসি চললে বা জানলা-দরজা বন্ধ থাকলে তো কথাই নেই। ত্বক বিশেষজ্ঞদের মতে, ত্বককে সুরক্ষিত রাখতে গেলে ঘরের মধ্যেও সানস্ক্রিন মাখার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে। বাইরে বেরোচ্ছেন না, কিন্তু রান্না করতে বা ছাদে ভেজা জামাকাপড় মেলতে রোদে গেলেও ত্বকে নানা রকম সমস্যা হতে পারে, অনেকেরই সে ধারণা নেই। ত্বকের ক্যানসার হওয়াও রুখে দিতে পারে এই ক্রিম।
প্রতি দিন সানস্ক্রিন ব্যবহার করলে ত্বকের আর কোন কোন উপকার হতে পারে?
১) ইউভি-এ রশ্মি থেকে বাঁচা
এই রশ্মির ওয়েভ লেন্থ ইউভি-বি-এর তুলনায় বেশি। ফলে সরাসরি ত্বক পুড়িয়ে না দিলেও ঘরের ভিতর পর্যন্ত প্রবেশ করতে পারে এই সূর্যরশ্মি। কিন্তু এই রশ্মি লেগে ত্বকের রং কালচে হয়ে যায় না বলে অনেকেই এ সম্পর্কে সচেতন নন। যদিও চিকিৎসকদের মতে, এই রশ্মি ইউভি-বি-এর তুলনায় কম ক্ষতিকর তো নয়ই, উল্টে আপাত ভাবে ক্ষতির পরিমাণ আন্দাজ করা যায় না বলে বুঝতে অনেকটা দেরি হয়ে যায়। দীর্ঘ দিন এই আলোকরশ্মি ত্বকে পড়লে ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কা থেকেই যায়। যাঁদের বাড়িতে কাচের জানলা বা দরজা রয়েছে, তাঁদের ঘরের ভিতরে এই রশ্মিটির প্রভাব বেশি পড়ে। এর থেকে বাঁচাতে পারে সানস্ক্রিন।
২) ইউভি-বি রশ্মি থেকে বাঁচা
সূর্যের আলোয় অতিবেগুনি রশ্মি বা আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি থাকে। এই ইউভি-বি রশ্মিটি সরাসরি ত্বকে এসে পড়লে তৎক্ষণাৎ ত্বক পুড়ে যায়। ত্বকের রং কালচে হয়ে যায়। এর থেকে বাঁচতেই বেশির ভাগ মানুষ সানস্ক্রিন ব্যবহার করেন।
৩) ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখা
ত্বকের স্থিতিস্থাপকতা ধরে রাখতে সাহায্য করে প্রোটিন। এ ক্ষেত্রে ত্বকের নিজস্ব প্রোটিন কোলাজেন, কেরাটিন এবং ইলাস্টিন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ত্বকে এই প্রোটিনগুলির মাত্রা ঠিক রাখতে গেলেও কিন্তু সানস্ক্রিন মাখা জরুরি।