চাঁদিফাটা রোদে ত্বক যেন ঝলসে না যায়। ছবি- সংগৃহীত
এপ্রিলের শুরুতে গরমের দাপট দেখে রীতিমতো ভয় পেতে হচ্ছে। এখনও বাকি আছে গোটা বৈশাখ মাস। এই মধ্যগগনে থাকা সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগুনি রশ্মি সরাসরি ত্বকের উপর পড়লে নানা রকম ক্ষতি হতে পারে। ত্বকের ক্যানসার হওয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। সাধারণত সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোদের তেজ থাকে সবচেয়ে বেশি। চিকিৎসকরা পরামর্শ দেন এই সময়ে প্রয়োজন না থাকলে বাইরে না বেরোতে। কিন্তু যাঁদের বাইরে বেরোতেই হয়, তাঁরা সূর্যের এই ক্ষতিকর প্রভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করবেন কী ভাবে?
রোদে বেরোনোর আধ ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মাখতে হবে। ছবি- সংগৃহীত
১) সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন
সূর্যের ক্ষতিকর ‘ইউভি এ’ এবং ‘ইউভি বি’-র হাত থেকে বাঁচতে এসপিএফ ৩০ যুক্ত সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে বলেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রোদে বেরোনোর আধ ঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন মাখতে হবে। শুধু মুখ বা হাত নয়, পায়ের যেটুকু অংশ জুতোর ফাঁক দিয়ে বাইরে বেরিয়ে থাকে, সেখানেও সানস্ক্রিন মাখতে হবে। সুইমিং পুলে সাঁতার কাটার সময়েও সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা।
২) গা-ঢাকা পোশাক পরুন
সানস্ক্রিন মাখলেও গরমকালে হাতকাটা পোশাক না পরলেই ভাল। সূর্যের ক্ষতিকর রশ্মির প্রভাব থেকে বাঁচতে সানস্ক্রিনের উপর যদি পোশাকের আবরণ থাকে, তা হলে দ্বিগুণ সুরক্ষা পাওয়া যাবে।
৩) পর্যাপ্ত জল খান
রোদের তাপে হিট স্ট্রোক হওয়ার আশঙ্কা যেমন থাকে, তেমনই থাকে ডিহাইড্রেট হওয়ার চিন্তা। চিকিৎসকদের মতে, শরীরে জলের ঘাটতি পূরণে দিনে ৮ থেকে ১০ গ্লাস জল খাওয়া বাঞ্ছনীয়। পাশাপাশি অ্যালকোহল, চা এবং ক্যাফিনজাতীয় পানীয় না খাওয়া উচিত।
৪) হালকা পোশাক পরুন
গরমে ঘাম বেশি হয়। অতিরিক্ত ঘামের সঙ্গে ধুলোবালি মিশে ত্বকের উন্মুক্ত রন্ধ্রগুলির মুখ বন্ধ হয়ে গেলে ত্বকে র্যাশ, ব্রণর সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। তাই হালকা সুতির পোশাক পরাই ভাল।
৫) চড়া রোদে বাইরে বেরোবেন না
খুব প্রয়োজন না পড়লে চড়া রোদে না বেরোনোই ভাল। সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত রোদের তেজ থাকে সব চেয়ে বেশি। মধ্যগগনে থাকা সূর্যের প্রখর তাপ থেকে বাঁচতে ছাতা অবশ্যই ব্যবহার করতে হবে।