হেঁশেলের ফেলে দেওয়া কোন উপকরণ দিয়ে করবেন রূপচর্চা? ছবি: সংগৃহীত।
ত্বক সুস্থ রাখতে অনেকেই মাসে অনন্ত এক ভার খরে সালোঁয় ঢুঁ মারেন। দামি ফেশিয়াল, ক্লিনআপ, ডিট্যান আরও কত কী করান। তবে রাসায়নিক উপাদানযুক্ত নামী-দামি প্রসাধনী ব্যবহার না করে কেবল হেঁশেলের উপকরণ দিয়ে রূপচর্চা করা যায়। হেঁশেলে এক বার ব্যবহার হয়ে গেলে অনেক উপাদানই আমরা ফেলে দিই, সেই ফেলে দেওয়া উপাদান দিয়েই ত্বকের নানা সমস্যার সমাধান সম্ভব। জেনে নিন কোন উপকরণগুলি ফেলার আগে রূপচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন।
চাল ধোয়া জল: দ্রুত চাল সেদ্ধ করার জন্য অনেকেই মিনিট পনেরো, কুঁড়ি চাল চলে ভিজিয়ে রাখেন। সেই জল পরেও ফেলেও দেন। অথচ চাল ভেজানো এই জলে রয়েছে পুষ্টিকর নানা ধরনের উপাদান। এতে থাকে নানা ধরনের খনিজ পদার্থ, ভিটামিন বি৬, অ্যামাইনো অ্যাসিডের মতো উপাদান। এই জল দিয়ে যদি ত্বক ও চুলের যত্ন নেওয়া যায়, তবে তা নানা ভাবে উপকার করতে পারে। ত্বকের জেল্লা ফেরাতে টোনার হিসাবে কিংবা চুল ধোয়ার পর মসৃণ রাখতে এই জল ব্যবহার করতেই পারেন।
কলার খোসা: কলার খোসায় ভিটামিন বি ৬, বি ১২, জিঙ্ক, অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকায় ত্বকের জন্য বেশ উপকারী এটি। মুখে বলিরেখা পড়তে শুরু করলে অ্যান্টি-এজিং ক্রিম না মেখে কলার খোসা ঘষতে শুরু করুন। শুষ্ক ত্বকের সমস্যা দূর করবে। আবার ত্বক টান টান রাখতেও সাহায্য করবে এই খোসা। সারা বছর পা ফাটে? সে ক্ষেত্রে ফুট ক্রিমের বদলে কলার খোসা ঘোষলে উপকার পাবেন।
দই নষ্ট না করে বরং রূপচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
দই: বাড়িতে পাতা টক দই মাঝেমধ্যে বেশি টকে যায়। তার থেকে অল্প গন্ধ বেরোতে থাকে। তখন আর সেই দই খাওয়া যায় না। কেউ কেউ তা রান্নায় ব্যবহার করেন। তবে সব সময়ে রান্নাতেও দেওয়া মুশকিল। হাল্কা পচে যাওয়া দই তরকারিতে দিলে গোটা রান্না নষ্ট হয়ে যাওয়ার ভয়ও যে থাকে মনের মধ্যে। কিন্তু তাই বলে কি এক বাটি দই ফেলে দেবেন? দই নষ্ট না করে বরং রূপচর্চায় ব্যবহার করতে পারেন। মুখ-হাত-গলায় টক দই মাখলে ত্বকের জেল্লা বাড়বে।