রূপচর্চাতে কী ভাবে ব্যবহার করবেন চিয়া বীজ? ছবি: শাটারস্টক
ওজন ঝরানোর ডায়েটে ইদানীং চিয়া বীজের জনপ্রিয়তা তুঙ্গে। ‘সালিভা হিসপানিকা’ নামক উদ্ভিদ থেকে এই বীজ পাওয়া যায়। পুডিং ও স্যালাডের সঙ্গেও এই বীজ খান কেউ কেউ। কেউ আবার পানীয়ের মধ্যে চিয়া বীজ মিশিয়ে খেতে পছন্দ করেন।
চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। আছে কোয়েরসেটিন, কেম্পফেরল, ক্লোরোজেনিক অ্যাসিড এবং ক্যাফিক অ্যাসিড। এ ছাড়াও, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়াম, ফাইবারও থাকে প্রচুর পরিমাণে। শরীরে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়াতেও চিয়া বীজের দারুণ ভূমিকা রয়েছে। ফ্যাট কমাতে, ডায়াবিটিস নিয়ন্ত্রণে এবং কর্মক্ষমতা বাড়িয়ে তুলতেও দারুণ ভাবে সাহায্য করে চিয়া বীজ।
ত্বকের পরিচর্যাতেও এই বীজের জুড়ি মেলা ভার। ত্বকের প্রাকৃতিক ঔজ্জ্বল্য ফেরাতে এবং কালো দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে এই বীজ। ব্রণর সমস্যা থাকলেও এই বীজের সাহায্যে হতে পারে মুশকিল আসান। ত্বকে বয়সের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও কাজে আসে এই বীজ। চিয়া বীজ দিয়ে বানিয়ে ফেলুন ফেস প্যাক আর তাতেই হবে ত্বকের হাজার সমস্যার সমাধান।
চিয়া ওট্স আর টক দইয়ের ফেসপ্যাক: গরমের দিনেও ত্বক শুষ্ক দেখাচ্ছে। ত্বকের প্রাকৃতিক আর্দ্রতা ধরে রাখতে খুব ভাল কাজ করে এই প্যাক। চিয়া বীজ আগে জলে ভিজিয়ে রাখুন। এর পর তা জল থেকে তুলে নিয়ে তার সঙ্গে টক দই, ওট্স আর মধু ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার তা মুখে লাগিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। শুকিয়ে গেলে ধুয়ে নিন। রাতে ঘুমোতে যাওয়ার আগে এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে খুব ভাল।
চিয়া বীজের মধ্যে রয়েছে ভরপুর মাত্রায় ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড। ছবি: সংগৃহীত
চিয়া, মধু আর অলিভ অয়েলের ফেসপ্যাক: চিয়া বীজ জলে ভিজিয়ে রাখুন ১৫ মিনিট। এর পর তা জল থেকে তুলে ছেঁকে নিয়ে ওর সঙ্গে মধু আর অলিভ অয়েল ভাল করে মিশিয়ে নিন। এ বার তা মুখে লাগিয়ে মালিশ করুন। শুকনো হলে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। তবে এর পর কিন্তু মুখে এক টুকরো বরফ ঘষে নিতে ভুলবেন না। এতে ত্বকের দাগছোপ দূর হবে, বাড়বে জেল্লাও।
চিয়া, লেবু আর নারকেল তেলের প্যাক: দু’চামচ চিয়া বীজ, আধ কাপ নারকেল তেল আর এক চামচ লেবুর রস ভাল করে মিশিয়ে নিন। ২০ মিনিট রাখুন। চিয়া বীজ ফুলে উঠলে তা ভাল করে মুখে, ঘাড়ে লাগান। এর পর ১৫ মিনিট রেখে শুকনো করুন। শুকনো হয়ে গেলে ঈষদুষ্ণ জলে ধুয়ে নিন। নিয়মিত এই প্যাক ব্যবহার করতে পারলে মরা কোষ দূর হবে। চামড়া হবে টান টান।