মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনীর ব্যবহারে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। ছবি: সংগৃহীত।
শুকনো খাবার, পানীয়ের গায়ে মেয়াদ উত্তীর্ণের তারিখটি লেখা থাকে। ফলে বুঝে নিতে সুবিধা হয় জিনিসটি কত দিন পর্যন্ত খাওয়ার যোগ্য থাকবে। কিন্তু প্রসাধনীর গায়ে সব সময় এমন কোনও নির্দিষ্ট তারিখ লেখা থাকে না। ব্যতিক্রম অবশ্যই রয়েছে। তবে বাজারচলতি সব সংস্থার প্রসাধনীর ক্ষেত্রে এটি প্রযোজ্য নয়। মেয়াদ উত্তীর্ণ প্রসাধনীর ব্যবহারে ত্বকে নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। তাই এগুলি অত্যন্ত সতর্ক হয়ে ব্যবহার করা জরুরি। সব প্রসাধন সামগ্রীর ক্ষেত্রে এই মেয়াদ উত্তীর্ণের সময়সীমা এক রকম নয়। কোন প্রসাধনী কত দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা শ্রেয়?
ফাউন্ডেশন
নিয়মিত না হলেও বিয়েবাড়ি, পার্টি কিংবা অন্য কোনও জমকালো অনুষ্ঠানে ফাউন্ডেশন ব্যবহার করেন অনেকেই। মাঝেমাঝে ব্যবহার করার ফলে খরচও হয় অল্প পরিমাণে। এক বার কিনলে অনেক দিন থেকে যায় ফাউন্ডেশন। তবে তার মানে এই নয় যে, একটা ফাউন্ডেশন কিনে সারা জীবন ব্যবহার করবেন। ফাউন্ডেশন সর্বোচ্চ ভাল থাকে এক থেকে দে়ড় বছর। প্রসাধনীর গায়ে যদি নির্দিষ্ট কোনও তারিখ থেকে না থাকে, সেক্ষেত্রে ফাউন্ডেশনের বয়স দু’বছর হয়ে গেলে ফেলে দেওয়াই ভাল।
মাস্কারা
একটা মাস্কারা কিনে বছর খানেক ব্যবহার করার পরিকল্পনা থাকলে, তা এখনই মাথা থেকে ঝেড়ে ফেলুন। মাস্কারা খুব বেশি হলে তিন মাস ব্যবহার করলেই ভাল। তার বেশি ব্যবহার করলে চোখের ক্ষতি হতে পারে। তাই সেই ঝুঁকি না নেওয়াই ভাল।
আইলাইনার
আইলাইনার দিয়ে চোখ আঁকলে বেশ সুন্দর দেখায়। তবে একটা আইলাইনার ঠিক কত দিন পর্যন্ত ব্যবহার করা যায়, তা জেনে রাখা জরুরি। তরল আইলাইনারের মেয়াদ তিন থেকে চার মাস পর্যন্ত। তবে পেনসিল হলে সেটা বছর দুয়েক ব্যবহার করতে পারেন।
আইশ্যাডো
আইশ্যাডো দু’রকমের হয়। পাউডার এবং ক্রিম জাতীয়। অনেকেই আবার ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে দু’টোই ব্যবহার করেন। আইশ্যাডো ব্যবহারেরও কিন্তু নির্দিষ্ট সময়সীমা রয়েছে। পাউডার আইশ্যাডো ব্যবহারের সময়সীমা ২ বছর। কিন্তু ক্রিমজাতীয় আইশ্যাডো বছরখানেকের বেশি ব্যবহার করা ঠিক হবে না।