ত্বকে ব্রণ-ফুস্কুড়ির ক্ষতের দাগ সারানোর উপায় কী? ছবি: ফ্রিপিক।
পুজো প্রায় দরজায় কড়া নাড়ছে। সারা বছর অযত্নে ফেলে রাখা ত্বককে ঘষে মেজে টানটান, কোমল ও জেল্লাদার করে তোলার এখনই আদর্শ সময়। কিন্তু, সেরে যাওয়া ফুস্কুড়ি ও ক্ষতের দাগ পুজোর যাবতীয় সাজগোজে জল ঢেলে দিতে পারে। ব্রণ বা ফুস্কুড়ি সেরে গেলেও তার ক্ষতের দাগ সহজে যেতে চায় না। নাকে অথবা গলায় বা কপালে অবাঞ্ছিত লালচে-কালো দাগ দেখতে মোটেই ভাল লাগে না। এত অল্প সময়ে দাগ সারিয়ে ঝকঝকে ত্বক পাওয়ার উপায়ই বা কী? দামি ক্রিম বা ওষুধ নয়, ঘরোয়া টোটকাতেই ক্ষতের দাগ নির্মূল হতে পারে।
ত্বকে ক্ষতের দাগ সারানোর উপায় কী?
বেকিং সোডা
নিয়মিত অল্প জলে বেকিং সোডা মিশিয়ে দাগের উপর লাগানোর খানিক পরে ধুয়ে ফেললেই কেল্লাফতে! বেকিং সোডা মূলত ত্বকে অম্ল-ক্ষারের ভারসাম্য ফিরিয়ে যে কোনও ক্ষতের দাগ নির্মূল করতে পারে।
নারকেল তেল
ফুস্কুড়ি সেড়ে গেলেও ত্বকের সেই জায়গা একটাই শুষ্ক হয়ে যায় যে, সেখানে চামড়া কুঁচকে যায় অথবা কালো দাগ পড়ে যায়। এ সব ক্ষেত্রে নারকেল তেলই ভরসা। তেল ত্বকের ওই নির্দিষ্ট অঞ্চলকে আর্দ্র করে তোলে। দাগও মিলিয়ে যায় ক্রমশ।
চা পাতা
চা পাতার কিন্তু বহু গুণ। ব্যাক্টেরিয়া ও ছত্রাকের মতো জীবাণুর বিনাশে চা পাতার জুড়ি নেই। চা ছেঁকে ফেলার পর পড়ে থাকা পাতা ধুয়ে ফেলুন ঠান্ডা জলে। তার পর সেই চা পাতার প্রলেপ লাগিয়ে রাখুন ক্ষতস্থানে। ১৫-২০ মিনিট রেখে পরিষ্কার জলে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে তিন থেকে চার দিন নিয়ম করে করলেই, দাগ মিলিয়ে যাবে অল্প দিনেই।
অ্যালো ভেরা
ত্বকের পরিচর্যায় অপরিহার্য একটি উপাদান অ্যালো ভেরা জেল। ভিটামিনে ভরপুর অ্যালো ভেরা ত্বকের যে কোনও সংক্রমণ সারাতে যেমন কাজে লাগে, তেমনই ব্রণ-ফুস্কুড়ি বা র্যাশ নিরাময়েও সাহায্য করে। ত্বকে জালা, চুলকানি বা ক্ষতের দাগছোপের উপর অ্যালো ভেরা জেল লাগিয়ে রাখলে অনেক আরাম পাবেন। এর অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল উপাদান ত্বকের ময়লা, জীবাণু যেমন টেনে বার করে দেবে, তেমনই দাগছোপও তুলে দেবে খুব তাড়াতাড়ি।