ত্বক ও চুলের পরিচর্যায় কী কী ব্যবহার করেন সোনম? ফাইল চিত্র।
নায়িকাদের মতো ঝলমলে, টান টান, মসৃণ ত্বক হবে, এমন স্বপ্ন দেখেন অনেকেই। কিন্তু স্বপ্ন সত্যি হবে কোন জাদুকাঠিতে, তার হদিস জানেন না কেউই। তাঁদের উপচে পড়া গ্ল্যামারে চোখ ধাঁধিয়ে যায়। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা হলেও রূপ-রুটিন ফাঁস করতে চান না অনেক নায়িকাই। তবে ইদানীং আলিয়া ভট্ট, ক্যাটরিনা কইফ, দীপিকা পাড়ুকোনেরা তাঁদের জেল্লাদার ত্বক ও চুলের রহস্য জানাচ্ছেন। সেই তালিকায় রয়েছেন সোনম কপূরও। সন্তান সামলে, শুটিং সামলেও নিয়মিত ত্বক ও চুলের পরিচর্যা করেন সোনম। আর তার জন্য কোনও নামী ব্র্যান্ডের দামি পণ্য ব্যবহার করেন না তিনি। বরং ঘরোয়া উপকরণেই রূপচর্চা করার পরামর্শ দিলেন অভিনেত্রী।
নিজের ইনস্টাগ্রাম ভিডিয়োয় সোনম জানিয়েছেন, চুলের জন্য একমাত্র নারকেল তেলেই ভরসা করেন তিনি। শুটিংয়ের সময় নানা রকম ভাবে কেশসজ্জা করতে হয়। তাতে চুল যেমন রুক্ষ হয়, তেমনি চুলের ডগা ফাটার সমস্যাও বাড়ে। তাই নিয়মিত নারকেল তেলেই চুলের পরিচর্যা করেন তিনি। এতেই চুল রেশমের মতো নরম ও জেল্লাদার থাকে। মাঝেমধ্যে নারকেল তেলের সঙ্গে কয়েক ফোঁটা আমন্ড অয়েলও মিশিয়ে নেন। এতেও চুল জেল্লাদার হয়ে ওঠে। চুল পড়ার সমস্যাও কমে।
ত্বকের জন্য বিশেষ এক রকম ফেস-মাস্কই ব্যবহার করেন সোনম। জানিয়েছেন, বাড়িতে তাঁর মা-ও একই ভাবে ত্বকের পরিচর্যা করেন। ছোট থেকে তা দেখেই শিখেছেন তিনি। সোনমের ফেসপ্যাকের মূল উপকরণ হল বেসন। অভিনেত্রী বলছেন, শুটিংয়ের আলো, চড়া মেকআপত্বকের উপর প্রভাব ফেলে। তাই ত্বকের সজীবতা বজায় রাখতে নিয়মিত ফেস-মাস্ক ব্যবহার করতে হয়। এখন অনেক নামী সংস্থার ‘হাইড্রেটিং মাস্ক’ বেরিয়ে গিয়েছে, যা অনেক তারকাই ব্যবহার করেন। তবে তিনি ঘরেই নিজের জন্য বানিয়ে নেন বিশেষ রকম হাইড্রেটিং মাস্ক।
কী কী থাকে সেই মাস্কে? সোনম জানাচ্ছেন, বেসন, চন্দনের গুঁড়ো, গোলাপজল, দুধ ও হলুদ দিয়ে তিনি বানান ফেস-মাস্ক। এই মাস্ক প্রাকৃতিক অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর যা একই সঙ্গে স্ক্রাবিং ও ময়েশ্চারাইজ়িংয়ের কাজ করে। দুধ ও হলুদ ত্বকের কালচে দাগছোপ দূর করে। হলুদের অ্যান্টিব্যাক্টেরিয়াল গুণও আছে, যা ত্বকের যে কোনও সমস্যা দূর করে। প্রদাহও কমায়। ত্বক ভিতর থেকে সজীব ও জেল্লাদার হয়ে ওঠে।