আলিয়ার ‘নো মেক আপ’ লুক। ছবি- সংগৃহীত
সকাল হোক বা রাত, তরুণ প্রজন্ম খুব একটা মেক আপ চড়িয়ে রাখার পক্ষপাতী নয়। তাই ইদানীং ‘নো মেক আপ’ লুক বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এই লুকের বৈশিষ্ট্য হল, মেক আপ করবেন, অথচ দেখে বোঝা যাবে না যে মেক আপ করা হয়েছে। এতটাই স্বল্প এবং স্বচ্ছ মেক আপ করতে হবে যে, এক পলকে দেখলে মনে হবে মুখের নিজস্ব আভা।
গরমকালে তো বটেই, শীতকালে দিনের বেলাতেও ‘নো মেক আপ’ লুক ভীষণ কার্যকর। কারণ, এই ধরনের মেক আপে প্রসাধনী খুব কম ব্যবহার করা হয়। তাই ত্বক তাড়াতাড়ি ঘামে না। প্রচণ্ড গরমে ঘামে মেক আপ ঘেঁটে যাওয়ারও সম্ভাবনা থাকে না। আবার শীতকালে অনেকের ত্বক শুষ্ক হয়ে পড়ে, তার উপর চড়া মেক আপ করলে চামড়া মসৃণতা হারিয়ে ফেলে।
বাড়িতে এই ধরনের মেক আপ করার ক্ষেত্রে অনেকেই কিছু ভুল করে বসেন, যার ফলে স্নিগ্ধ রূপ অধরাই থেকে যায়। চিন্তা নেই। আলিয়ার মতো ‘নো মেক আপ’ লুকের হাল হদিস রইল এখানে।
১) ওয়াটার বেসড সেরাম
মেক আপ শুরুর আগে মুখে সেরাম মাখা জরুরি। মুখের আর্দ্রতা থেকে জেল্লা দুই-ই বজায় রাখে সেরাম। মুখে র্যাশ বা ব্রণর সমস্যা থাকলে, তার উপর মেক আপ করলে এই সমস্যা আরও বেড়ে যেতে পারে। তাই মেক আপের আগে নিজের ত্বকের ধরন বুঝে মেখে নিন সেরাম। বিভিন্ন প্রসাধনী ব্যবহার করলেও নতুন করে কোনও সমস্যায় পড়তে হবে না।
২) ওয়াটার বেসড ফাউন্ডেশন
যে কোনও মেক আপের ক্ষেত্রেই ফাউন্ডেশন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তবে এই ধরনের মেক আপের ক্ষেত্রে খুব ঘন ফাউন্ডেশন ব্যবহার না করাই ভাল। বাজারে জেল বেসড বা ওয়াটার বেসড অনেক ধরনের ফাউন্ডেশন পাওয়া যায়। হালকা মেক আপের ক্ষেত্রে যতটা সম্ভব কম পরিমাণ ফাউন্ডেশন নিয়ে মুখে মিশিয়ে নিন।
৩) আইব্রো জেল
মুখের সৌন্দর্য রক্ষায় ভুরুর যথেষ্ট ভূমিকা রয়েছে। তাই মেক আপের সময়ে ভুরুর কথা ভুললে চলবে না। আগে আইব্রো পেন্সিল ব্যবহার করতেন অনেকে। কিন্তু ভুরু আঁকলেও যাতে একটু বোঝা না যায়, সেই জন্য এখন আইব্রো জেল বা পাউডার ব্যবহার করাই যেতে পারে।
৪) প্রেসড পাউডার
ফাউন্ডেশন সেট করার জন্য মুখে পাউডার তো মাখতেই হবে। এ ছাড়াও মুখের তৈলাক্ত ভাব, অতিরিক্ত ঘাম টেনে নিয়ে মুখে কোমল ভাব বজায় রাখতেও এই পাউডার কাজে লাগে।
৫) লিপ বাম
একেবারে হালকা মেক আপের সঙ্গে লিপস্টিক কিন্তু মানায় না। রাতের বেলা ন্যুড রঙের লিপস্টিক মাখলেও মাখতে পারেন। কিন্তু দিনের বেলা লিপ বাম দিলেই ভাল।