সনাতনী সাজেও থাকুক চমক। ফ্লার থেকে নেওয়া পল্লব শেঠের তোলা ছবি।
পুজোর চার দিনের মজা শেষ। মুখে পান পাতা বুলিয়ে, সিঁদুর খেলে, মিষ্টিমুখ করিয়ে এ বার মাকে বিদায় জানানোর পালা। বিষাদের সুর আকাশে-বাতাসে। দশমীর বিকালে মাকে বরণ করে সিঁদুর খেলায় মেতে উঠবেন তারকা থেকে সাধারণ মানুষ। পুজো মানেই বাঙালির পোশাকে লাল-সাদার ছোঁয়া। দশমীর দিনও ঠাকুর বরণ এবং সিঁদুর খেলার জন্য অনেকেই লাল পাড় সাদা শাড়ি বেছে নেন। সেই চেনা রং মিলান্তিতে সেজেও সকলের মাঝে অন্য রকম লাগতে পারে যদি রূপটান হয় অন্য রকম। দশমীর দিন লাল-সাদাকে সঙ্গে রেখেই নিজেকে অন্য রকম ভাবে সাজাবেন কী ভাবে?
পোশাক
পোশাকে লাল-সাদা দু’টোই না রেখে কোনও একটি রং ব্যবহার করুন। লাল শাড়ির সঙ্গে অন্য কোনও রঙের ব্লাউজ। বা লাল ব্লাউজের সঙ্গে তসর, সোনালি, বাদামি রঙের শাড়ি পরা যেতে পারে। খুব উজ্জ্বল দু’টি রঙের ব্যবহার না করে যে কোনও হালকা কিংবা ফিকে রং ব্যবহার করুন। গাঢ় মেক আপ করলে পোশাকের ক্ষেত্রে হালকা রং বেছে নেওয়াই ভাল। তবে লাল ছাড়াও গোলাপি, ফিকে কমলা, সবুজও দশমীর পোশাকে নজর কাড়তে পারে।
ত্বকের যত্ন নিন
পোশাকের রং যা-ই হোক, ত্বক হোক চকচকে। সিঁদুর খেলার আগে তাই ত্বকের যত্ন নিন। ত্বক পরিচ্ছন্ন রাখার পাশাপাশি আর্দ্র রাখার দিকেও মন দিতে হবে। মেক আপ শুরুর আগে ভাল কোনও সিরাম ব্যবহার করতে পারেন। তাতে মেকআপ ভাল বসবে।
চোখ সাজান অন্য ভাবে
বাঙালি সাজের মূল আকর্ষণ হল চোখ। স্মোকি আইজ বা ধূসর রঙে চোখ সাজাতে পারেন। প্রথমে হাল্কা রঙের আইশ্যাডো ব্যবহার করে চোখের স্বাভাবিক আকৃতিকে স্পষ্ট করে তুলতে হবে। বাদামি রঙের আইশ্যাডো এ ক্ষেত্রে কাজে লাগতে পারে। আইশ্যাডোর পর কাজল বা আইলাইনারের সাহায্যে আরও ফুটিয়ে তোলা যাবে চোখ। চাইলে এর উপর সামান্য শিমার দিতে পারেন। অন্য রকম লাগবে। তবে হালকা রঙের শিমার ব্যবহার করুন।
লাল টিপ আর লিপস্টিকে সেজে উঠুন
দশমীতে যদি লাল অথবা সাদা কোনও শাড়ি পরেন, তাহলে কপালে লাল টিপ পরুন। অর্ধেক সাজ ওখানেই হয়ে গেল। ধ্রুপদী বাঙালি সাজের সঙ্গে লাল লিপস্টিক বেশ মানাবে। এর পর আর কোনও প্রসাধনী ব্যবহার না করলেও সকলের নজর আপনার দিকেই থাকবে।
গালে থাক গোলাপির ছোঁয়া
গালে সামান্য ব্লাশ অন লাগাতে পারেন। তবে খেয়াল রাখবেন বেশি যেন গোলাপি না হয়ে যায়। তাহলে সাজে একটা কৃত্রিম ভাব চলে আসবে। শাড়ির রঙের সঙ্গে মিলিয়ে হাইলাইটার ব্যবহার করা যেতে পারে। অথবা গ্লিটার হাইলাইটারও ব্যবহার করতে পারেন।