ত্বকচর্চায় জাপানি রহস্য। ছবি: সংগৃহীত।
বয়স বাড়লেই চোখে, মুখে তার ছাপ পড়ে। যৌবনের সেই লালিত্ব হারিয়ে যায়। ত্বক নিষ্প্রভ হয়ে পড়ে। ত্বকের নিজস্ব জেল্লা ফেরাতে কেউ নামীদামি প্রসাধনীর উপর ভরসা রাখেন, আবার কেউ সালোঁর পেশাদার কর্মীদের উপর। তবে, ইদানীং জাপানের প্রসাধনী, ত্বকচর্চাও ভারতীয়দের কাছে বিশেষ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। তাঁদের রূপটানে আলাদা কী এমন থাকে? তা কি খুব খরচসাপেক্ষ? রূপটানশিল্পীরা বলেন, আর পাঁচজনের মতো জাপানিরাও ক্লিনজ়িং, টোনিং, স্ক্রাব এবং মাস্ক— ব্যবহার করেন। তবে জাপানিদের রূপচর্চার প্রধান উপাদান হল চায়ের পাতা। রোজ গ্রিন টি, মাচা টি খাওয়ার পাশাপাশি প্রসাধনীর মধ্যেও তা ব্যবহার করে থাকেন তাঁরা। মাচা টি কেনা যদি সম্ভব না-ও হয়, অন্যটি দিয়ে কাজ চালানো যেতেই পারে।
গ্রিন টি ব্যবহারে ত্বকের কী কী উপকার হয়?
১) গ্রিন টি খেতে হবে:
জমা টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে গ্রিন টি। অ্যান্টিঅক্সিড্যান্টে ভরপুর গ্রিন টি সূর্যের ক্ষতিকর অতিবেগনি রশ্মির হাত থেকেও ত্বককে রক্ষা করে।
২) গ্রিন টি টোনার:
গ্রিন টি বা মাচা টি জলে ফুটিয়ে ঠান্ডা করে নিন। পরিষ্কার একটি স্প্রে বোতলে ভরে রাখুন। চাইলে ফ্রিজ়েও রাখতে পারেন। মাইল্ড কোনও ফেসওয়াশ দিয়ে মুখ ধুয়ে এই টোনার ব্যবহার করা যেতেই পারে।
সিরামের বদলে গ্রিন টি-র নির্যাস থেকে তৈরি ফেস অয়েল বেশি কার্যকরী। ছবি: সংগৃহীত।
৩) ফেস অয়েল:
টোনার মাখার পর অনেকেই মুখে সিরাম ব্যবহার করেন। তবে জাপানি রীতি বলছে, সিরামের বদলে গ্রিন টি-র নির্যাস থেকে তৈরি ফেস অয়েল বেশি কার্যকরী। ত্বকের আর্দ্রতা বজায় রাখতে, র্যাশ, ব্রণের সমস্যা নিয়ন্ত্রণে এই অয়েল দারুণ কাজ করে।
৪) এক্সফোলিয়েট:
গ্রিন টি-র গুঁড়ো এবং টক দই মিশিয়ে মুখে এক্সফোলিয়েটর হিসেবে ব্যবহার করাই যায়। ত্বক থেকে মৃত কোষ দূর করে হারানো জেল্লা ফেরাতে দারুণ উপকারী গ্রিন টির এই মিশ্রণ।
৫) মাস্ক:
এই চায়ের পাতা গোলাপ জল বা গ্রিন টি টোনারের সঙ্গে মিশিয়ে মাস্ক তৈরি করে নিন। সপ্তাহে দু-তিন দিন এই মাস্ক ব্যবহার করে দেখুন। ত্বকের তারুণ্য ধরে রাখার জন্য আলাদা করে কিছু করতে হবে না।