বদহজমের সমস্যা দূর করতেও বিটনুন বেশ উপকারী। ছবি: সংগৃহীত।
খাবারে নুন বেশি হলে যেমন খাওয়া যায় না, তেমনই আবার নুন কম হলেও মুশকিল। তরকারিতে নুন কম মনে হলেই কাঁচা নুন মিশিয়ে খেয়ে নেন অনেকেই। বেশি নুন খাওয়া, বিশেষ করে কাঁচা নুন খাওয়া স্বাস্থ্যের জন্য মোটই ভল নয়। এই অভ্যাসে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা দেখা দেয়। হৃদ্রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। সাধারণ নুনের তুলনায় বিট নুন ঢের ভাল। সাধারণত সোডিয়ামযুক্ত খাবার বেশি খেয়ে ফেললে শরীরে জলের মাত্রা বেড়ে যায়। বিটনুনে সোডিয়ামের মাত্রা কম থাকায় শরীরে জল জমতে দেয় না। সকালে উঠে অনেকেই অনেক রকম পানীয় খান। ঘুম থেকে উঠেই কিন্তু ঈষদুষ্ণ জলে বিট নুন মিশিয়ে খেতে পারেন। জেনে নিন, এই পানীয় খেলে কী কী লাভ হয় শরীরের।
হজমশক্তি বাড়ায়
বিটনুন পিত্ত উত্পাদনকে উদ্দীপিত করে। শরীরে অ্যাসিডের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতেও সাহায্য করে। বদহজমের সমস্যা দূর করতেও এই নুন বেশ উপকারী। কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যাও দূর করে বিটনুন।
পেশির টান দূর করতে
বিটনুনে উচ্চ মাত্রায় পটাশিয়াম থাকে, যা শরীরের পেশিগুলির কর্মদক্ষতা বাড়ায়। হাঁটাচলা কিংবা শরীরচর্চার সময় পেশিতে টান পড়ে অনেকের। এই ক্ষেত্রে নিয়মিত বিটনুন খেলে উপকার পেতে পারেন। বিটনুন শরীরে রক্ত চলাচল স্বাভাবিক রাখে।
চুল ও ত্বকের স্বাস্থ্য ভাল রাখে
প্রচুর মাত্রায় খনিজে ভরপুর বিটনুন চুলের দৈর্ঘ্য বাড়াতে সাহায্য করে। এ ছাড়া চুল পড়া আটকায়। প্রতিদিনের ডায়েটে বিটনুন থাকলে খুশকির সমস্যা থেকেও মুক্তি পাওয়া সম্ভব। ত্বক ভাল রাখতেও এই পানীয় বেশ উপকারী।
ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমলে জলে বিট নুন মিশিয়ে খেতে পারেন। ছবি: সংগৃহীত।
শরীরের টক্সিন দূর করতে
এক চা চামচ বিটনুন গরম জলের সঙ্গে মিশিয়ে খালি পেটে পান করুন। এই পানীয় শরীর থেকে সমস্ত টক্সিন বার করে দেবে।
শ্বাসযন্ত্রের জন্য উপকারী
ঠান্ডা লেগে বুকে কফ জমলেও জলে বিট নুন মিশিয়ে খেতে পারেন। ফুসফুসে সংক্রমণ হলে এই পানীয় খেলেই উপকার পাবেন। এ ছাড়া সাইনাসের সমস্যা, অ্যালার্জির সমস্যা হলেও এই পানীয় খেলে উপকার পাবেন।
এই প্রতিবেদনটি সচেতনতার উদ্দেশ্যে লেখা হয়েছে। কোনও ক্রনিক অসুখ থাকলে চিকিৎসক ও পুষ্টিবিদের পরামর্শ নিয়েই এই পানীয় রাখুন ডায়েটে।