জলে কী কী থাকলে চুল পড়ার সমস্যা বাড়বে? ছবি: ফ্রিপিক।
রাস্তার ধুলো-ধোঁয়া, দূষণ তো আছেই, খাওয়াদাওয়ায় অনিয়মও চুল পড়ার অন্যতম কারণ। তবে কারণ আরও আছে। ভাল করে ভেবে দেখুন তো, আপনার বাড়ির জলই চুল পড়ার কারণ হয়ে উঠছে কি না?
জলে যদি আয়রন বেশি থাকে তা হলে চুল পড়তে বাধ্য। বাড়ির কলের জল যদি ‘হার্ড’ বা খনিজ সমৃদ্ধ হয়, তা হলে তো চুল পড়বেই। কারণ এই জলে ক্যালশিয়াম ও ম্যাগনেশিয়ামের মাত্রাও বেশি থাকে যা চুলের গোড়ায় জমে থেকে গোড়া আলগা করে দেয়। এমন জল দিয়ে রোজ মাথা ধুলে বুঝতে পারবেন, চুল রুক্ষ ও নির্জীব হয়ে যাচ্ছে। মাথায় হাত দিলেই গোছা গোছা চুল উঠবে। চুলে জটও পড়বে বেশি।
এই সমস্যার সমাধান করতে হলে ‘ওয়াটার সফ্টনার’ লাগানোর ব্যবস্থা করুন। দাম বেশি পড়তে পারে, কিন্তু এই মেশিনে এমন ফিল্টার থাকে যা জলের ময়লা ও খনিজ উপাদানগুলিকে ছেঁকে নিয়ে জল বিশুদ্ধ করতে পারে। কল বা শাওয়ারের মুখে এই ফিল্টার লাগিয়ে নিলে আর কোনও সমস্যা থাকবে না। তবে ফিল্টার মাঝেমধ্যেই পরিষ্কার করাতে হবে না হলে আয়রন বা খনিজের স্তর জমা হতে হতে কল বা শাওয়ারের মুখ বন্ধ হয়ে যাবে।
জলে অতিরিক্ত ক্লোরিন থাকলেও চুলের বারোটা বেজে যাবে। ক্লোরিন এমনিতে জল পরিশুদ্ধ করে। কিন্তু অতিরিক্ত ক্লোরিন চুলের ক্ষতি করে। তাই যাঁরা সুইমিং পুলে সাঁতার কাটেন, তাঁরা সতর্ক থাকতে হবে। শাওয়ার ক্যাপ পরে তবেই সাঁতার কাটা উচিত। তার পর চুল পরিষ্কার জলে ধুয়ে নিতে হবে।
চুল পড়ার সমস্যা কমাতে রোজ পর্যাপ্ত পরিমাণে জল এবং পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ খাবার খাওয়াও জরুরি। সঙ্গে অবশ্যই প্রয়োজন চুলে যত্ন। যদি আপনার চুল তৈলাক্ত হয়, তা হলে এক দিন অন্তর শ্যাম্পু অবশ্যই করবেন। যদি কোঁকড়া চুল হয়, তা হলে ভাল কন্ডিশনার এবং সিরাম লাগানো প্রয়োজন। সপ্তাহে অন্তত দু’থেকে তিন দিন যদি তেল লাগিয়ে ভাল করে মাসাজ করা যায়, তা হলেও চুলের স্বাস্থ্য ভাল থাকবে।