ড্রাই শ্যাম্পুর ব্যবহার কি চুলের জন্য ক্ষতিকর? ছবি: সংগৃহীত।
কোথাও যেতে হবে, আর এ দিকে চুল কী রকম তেলতেলে হয়ে আছে। সময়ের বড্ড অভাব, শ্যাম্পুও করা যাবে না! এ ক্ষেত্রে ড্রাই শ্যাম্পু দিয়েই হতে পারে মুশকিল আসান। শুকনো চুলে লাগিয়ে, একটু মালিশ করে নিলেই এসে যাবে ফুরফুরে ভাব। প্রথমে খোলসা করে দেওয়া দরকার, ড্রাই শ্যাম্পু আসলে কী? অনেক সময়ই আমাদের চুল ভিজিয়ে স্নান করার অবকাশ থাকে না, তখন ড্রাই শ্যাম্পু মাথায় লাগিয়ে নিলেই হল।
কোথাও বেড়াতে গেলে শ্যাম্পু করাটা যেন বড় ঝক্কির কাজ। তখন ভরসা সেই ড্রাই শ্যাম্পুই। আবার ধরুন, সন্ধ্যায় কোনও অনুষ্ঠানে যাবেন, এ দিকে চুল কেমন যেন নেতিয়ে রয়েছে। তখন ড্রাই শ্যাম্পুই কাজে আসবে। মহিলাদের জরুরি প্রসাধনীর তালিকায় ড্রাই শ্যাম্পু কিন্তু নতুন সংযোজন। স্প্রে, পাউডার এবং লিক্যুইড— এই তিন ধরনের ড্রাই শ্যাম্পু হয়। তবে বাজারে পাউডার আর স্প্রে-ই বেশি পাওয়া যায়। রূপটানশিল্পীরা বিভিন্ন হেয়ার স্টাইল করতেও এই শ্যাম্পুর ব্যবহার করেন।
তবে চটজলদি যে কোনও সমাধানই খুব বেশি দিন দীর্ঘ স্থায়ী হয় না। ড্রাই শ্যাম্পুর প্রভাবও ৭ থেকে ৮ ঘণ্টার বেশি হয় না। তার উপর দিনের পর দিন ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুলেরও বেশ ক্ষতি হয়। ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে চুল কী ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়?
১) ড্রাই শ্যাম্পু ব্যবহার করলে মাথার ত্বকে অ্যালার্জি জনিত সমস্যা হওয়া অস্বাভাবিক নয়। কারণ, এই প্রসাধনীতে ব্যবহৃত রাসায়নিকগুলি মাথার ত্বক অতিরিক্ত শুষ্ক করে দেয়। ফলে খুশকি, চুল ঝরে পড়ার সমস্যা বেড়ে যেতে পারে। সারা ক্ষণই মাথার ত্বক শুষ্ক হয়ে যায়।
২) ড্রাই শ্যাম্পুর মধ্যে থাকা রাসায়নিক চুলের গোড়ায় জমে যায়। ফলে বাইরে থেকে চুলের মধ্যে কোনও রকম পুষ্টি পৌঁছতে পারে না। চুলের গোড়ায় ধুলো-ময়লা জমে মুখ বন্ধ হয়ে গেলে চুল ঝরে পড়ার পরিমাণ বেড়ে যায়।
৩) শখ করে চুলে রং করিয়েছেন। কিন্তু সেই রং বেশি দিন স্থায়ী হচ্ছে না। ভাবছেন, হয়তো রঙের দোষ। আসলে তা নয়, ড্রাই শ্যাম্পুর মধ্যে থাকা রাসায়নিক চুলের রং নষ্ট করে দেয়।