প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার অন্যতম প্রধান উপকরণ হিসাবে কাঁচা দুধের জুড়ি মেলা ভার। ছবি: সংগৃহীত
ত্বক ভাল রাখতে আপনি হাজারও প্রসাধনী ব্যবহার করেছেন, অথচ লাভের লাভ কিছুই হচ্ছে না! গরমে রোদে পুড়ে ত্বকের একেবারে বেহাল দশা। সমাধান কিন্তু আপনার হাতের কাছেই রয়েছে। ত্বকের নানা সমস্যায় ভরসা রাখতে পারেন কাঁচা দুধে। প্রাচীনকাল থেকেই রূপচর্চার অন্যতম প্রধান উপকরণ হিসাবে কাঁচা দুধের জুড়ি মেলা ভার।
ত্বক পরিচর্যায় কাঁচা দুধ:
১) প্রাকৃতিক ক্লিনজার হিসাবে কাঁচা দুধ ব্যবহার করা যেতে পারে। দুধে ভরপুর মাত্রায় ভিটামিন থাকে, যা ত্বকের ঔজ্জ্বল্য বাড়াতে সাহায্য করে। গরমে রোদ থেকে ফিরে ত্বক নিস্তেজ দেখায়। এ ক্ষেত্রে কাঁচা দুধ তুলোয় ভিজিয়ে লাগিয়ে নিতে পারেন।
২) কাঁচা দুধ ভীষণ ভাল ময়েশ্চারাইজার হিসাবে কাজ করে। এটি ত্বকের গভীরে ঢুকে আর্দ্রতা ধরে রাখে। শুষ্ক ত্বকের জন্য হেঁশেলের এই উপাদানটি দারুণ উপকারী।
৩) দুধে ল্যাকটিক অ্যাসিড ভাল মাত্রায় থাকে। এই উপাদানটি ত্বকে সংক্রমণের ঝুঁকি কমায়। ব্রণ, ফুসকুড়ির সমস্যায় যাঁরা প্রায়ই ভোগেন, তাঁরাও ত্বকে কাঁচা দুধ ব্যবহার করতে পারেন। সুফল পাবেন। ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতেও ল্যাকটিক অ্যাসিড দারুণ উপকারী।
প্রতীকী ছবি
৪) কাঁচা দুধে বিটা হাইড্রক্সি অ্যাসিড থাকে। এই উপাদানটি ত্বকের মৃতকোষগুলি দূর করতে সাহায্য করে।
৫) ত্বকে কাঁচা দুধ মাখলে কোলাজেন উৎপাদনের হার বেড়ে যায়। ফলে নতুন কোষ গঠণ হয়। তাই কাঁচা দুধ ত্বকে বয়েসের ছাপ ঠেকিয়ে রাখতেও সাহায্য করে। দুধে উপস্থিত ভিটামিন ডি ত্বককে মসৃণ ও টানটান রাখে।
কী ভাবে ব্যবহার করবেন কাঁচা দুধ?
১) ত্বকের জেল্লা ফিরিয়ে আনতে কাঁচা দুধ, বেসন, মধু আর এক একটু হলুদ মিশিয়ে ফেস প্যাক বানিয়ে ব্যবহার করুন। মিনিট ১৫ রেখে জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
২) রোদে পুড়ে ত্বকে ট্যান পড়েছে? কাঁচা দুধের সঙ্গে টমেটোর রস মিশিয়ে নিয়মিত লাগান। ত্বকের কালচে দাগ দূর হবে।
৩) ত্বকের বলিরেখা দূর করতে টক দই ও কাঁচা দুধ দিয়ে ফেসপ্যাক বানিয়ে নিন। সারা মুখে প্যাকটি লাগিয়ে ২০ মিনিট রাখুন। তার পর জল দিয়ে ধুয়ে নিন।